চট্টগ্রামে জোড়া খুনে মামলা, আসামি ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৬ এএম
ছবি : সংগৃহীত
চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানার চন্দনপুরা এক্সেস রোড এলাকায় জোড়া খুনের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বাকলিয়া থানায় নিহত মোহাম্মদ মানিকের মা ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
মামলায় কারাগারে থাকা চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী শারমিনকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। এছাড়া, আসামি হিসেবে মোহাম্মদ হাছান, মোবারক হোসেন ইমন, খোরশেদ, রায়হান ও বোরহানের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৬-৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত শনিবার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে চন্দনপুরা এক্সেস রোড এলাকায় একটি প্রাইভেটকার লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মোহাম্মদ মানিক ও আবদুল্লাহ নিহত হন এবং আরও দুজন আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, চট্টগ্রামের দুই সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ ও সারোয়ার হোসেন বাবলার বিরোধের জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। নিহত মানিক সারোয়ার হোসেন বাবলার গাড়িচালক ছিলেন এবং নিহত আবদুল্লাহ তার ব্যক্তিগত কাজ করতেন।
২৯ মার্চ রাতে মানিক, সারোয়ার, আবদুল্লাহ, রবিন, হৃদয় ও ইমন নতুন ব্রিজ এলাকায় আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেখান থেকে বহদ্দারহাটের দিকে রওনা হলে রাত ২টার দিকে রাজাখালী ব্রিজ এলাকায় পৌঁছামাত্র ৬-৭টি মোটরসাইকেল থেকে প্রাইভেটকার লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়।
গুলিতে গাড়ির পেছনের গ্লাস ভেদ হয়ে যায়। আতঙ্কে মানিক বহদ্দারহাটের পরিবর্তে বাকলিয়া এক্সেস রোড হয়ে চকবাজারের দিকে যান। সোয়া ২টার দিকে নবাব সিরাজউদ্দৌলা সড়কে গাড়িটি থামালে দুর্বৃত্তরা আবারও গুলি চালায়। এতে মানিক ও আবদুল্লাহ গুরুতর আহত হন। গুলির মধ্যে গাড়িতে থাকা সারোয়ার ও ইমন কৌশলে পালিয়ে যান। পরে আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, কারাবন্দি ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী শারমিনের পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে আসামিরা সারোয়ার হোসেন বাবলা ও তার সহযোগীদের হত্যার উদ্দেশ্যে নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে প্রাইভেটকারটির পিছু নেয়।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন জানান, সাতজনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।



