পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় ৮ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় সংগঠনের জেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক মো. আতিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

বহিষ্কৃত দুই নেতা হলেন আদাবাড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রিমন সিকদার (৩১) এবং যুগ্ম আহ্বায়ক লিটন খন্দকার (৪০)।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগের প্রেক্ষিতে পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়ন শাখার এই দুই নেতাকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সংগঠনের সব ধরনের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বহিষ্কারের সিদ্ধান্তটি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. মশিউর রহমান মিলন ও সাধারণ সম্পাদক মো. এনায়েত হোসেন মোহন অনুমোদন করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাউফল উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নাঈম সিকদার তারেক বলেন, ‘‘জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তদন্তের পরই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অভিযুক্তরা দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।’’

এ বিষয়ে জানতে পটুয়াখালী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মশিউর রহমান মিলনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

গত বুধবার (২৬ মার্চ) দুপুরে বাউফলের আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের সিদ্দিক বাজার এলাকায় একটি পেট্রোলবাহী লরি থেকে ৮ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ ওঠে রিমন সিকদার ও লিটন খন্দকারের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সৌরভ বশারের অভিযোগ, লরি নিয়ে বাজারে পৌঁছালে লিটন খন্দকার তাকে বাকিতে পেট্রোল সরবরাহ করতে বলেন। সৌরভ এতে রাজি না হলে, ৫-৬ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং পরবর্তীতে তার কাছ থেকে নগদ ৮ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।

এ ঘটনা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টিতে আসে। দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে অভিযুক্তদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।