
প্রিন্ট: ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩৬ এএম
নওগাঁয় আমের মুকুলের সুবাস, বাম্পার ফলনের আশা

নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০২:৩০ পিএম

নওগাঁর আমগাছগুলো মুকুলে ছেয়ে গেছে। ছবি : সংগৃহীত
দেশের অন্যতম আম উৎপাদনকারী জেলা নওগাঁতে এবার আমের বাগানগুলোতে মুকুলের আধিক্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। জেলার বাতাসে এখন আমের মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়েছে। কৃষিবিদরা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার বাম্পার ফলন হতে পারে।
গত বছরের তুলনায় এবার ২০০ হেক্টর বেশি জমিতে আমের চাষ হয়েছে। ফলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রাও বেড়েছে। নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এবার জেলায় ৩০,৫০০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে, যেখানে গত বছর এই পরিমাণ ছিল ৩০,৩০০ হেক্টর। এবার আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪.৫ লাখ টন, যা গত বছরের তুলনায় ২৫ হাজার টন বেশি।
সাপাহার, পোরশা, নিয়ামতপুর, পত্নীতলা, ধামইরহাট ও বদলগাছি উপজেলায় সবচেয়ে বেশি আম উৎপাদন হয়। জেলার সুস্বাদু আমের মধ্যে নাগ ফজলি, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, আশ্বিনা, কাটিমন ও ফজলি জাতের আম বেশি জনপ্রিয়।
তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা সোহেল রানা বলেন, "গত বছর আমার বাগানের ৫০-৬০ শতাংশ গাছে মুকুল এসেছিল, এবার তা বেড়ে ৮০ শতাংশ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলন হবে।"
পোরশার আমচাষি রায়হান আলম জানান, "গত বছরের তুলনায় এবার মুকুল অনেক আগেই এসেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার বাম্পার ফলন হবে।"
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, "চলতি বছরে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে সাড়ে চার লাখ টন আম উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। আমের বাজার ভালো থাকলে এবছর নওগাঁয় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার আম উৎপাদন হতে পারে।"
এদিকে, মুকুল আসার সঙ্গে সঙ্গেই মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বাগান কেনাবেচার কার্যক্রম শুরু করেছেন। ভালো দামে আম বিক্রির আশায় চাষিরাও ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন।