আমার মাকে মিথ্যা অপবাদে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ: সংবাদ সম্মেলনে স্বর্ণা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৪ পিএম
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলন করতে যাওয়ার সময় রাজধানীর মৎস্য ভবন এলাকা থেকে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন আনোয়ারা মায়া নামের এক নারী। মায়ের অনুপস্থিতে সংবাদ সম্মেলন করেন মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস স্বর্ণা।
স্বর্ণা অভিযোগ করেন, তার মাকে মিথ্যা অপবাদে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। তিনি বলেন, এই দিন দেখার জন্য কি কষ্ট করে আন্দোলন করেছিলাম? এ জন্যই কি আমরা মার খেয়েছি? এখানে যারা আমরা আছি, তারা সবাই আশিয়ান সিটির ভুক্তভোগী। কারো পৈত্রিক সম্পত্তি, কারো ঘরবাড়ি, জোর করে দখল করে নিয়েছে আশিয়ান সিটি।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়।
লিখিত বক্তব্যে জান্নাতুল ফেরদৌস স্বর্ণা বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে আশিয়ান সিটির মালিক নজরুল ইসলাম বিভিন্ন ব্যক্তির পৈতৃক ও কেনা জমি অবৈধভাবে জাল-জালিয়াতি, প্রতারণা ও সন্ত্রাসীদের দিয়ে দখল করে নিয়েছেন। সেই জমি প্লট আকারে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করেছেন। এক প্লট একাধিক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে করেছেন প্রতারণা। ভুক্তভোগীরাও এখনে উপস্থিত। ২০০৯ সালে খিলক্ষেত থানার বড়ুয়া দক্ষিণ পাড়ায় আমার মায়ের এক বিঘা পৈত্রিক জমি দখল করে নজরুল। হত্যা করে আমার মামাকে। এরপর আদালত ওই জমিতে স্থিতাদেশ দেয়। এতদিন কোনো পক্ষ ওই জমিতে কিছু না করলেও ৫ আগস্টের পর নজরুল আদালতের আদেশ অমান্য করে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে অস্ত্রের মুখে দখলে নিয়েছে। এ ব্যাপারে খিলক্ষেত থানায় গিয়ে কোনো লাভ হয়নি। আশিয়ানের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি পর্যন্ত নেয়নি। এমনকি আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মতো একটি স্থানে সাংবাদিকদের মাঝেও সন্ত্রাসী পাঠিয়ে দিয়েছে, যাতে আমরা তাদের অপকর্ম আপনাদের সামনে তুলে ধরতে না পারি।
তিনি বলেন, আশিয়ান সিটির ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের মধ্যে যারা ওই এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তারা হলেন- আব্বাস আলী, ওলীউল্লাহ, রাশেদুল, নুরুল্লাহ, ফাহিম, আনিস, জিহাদ, নুরুল, সাইফুল, জাহিদুল, মজিবর, রিয়াজসহ আরও অনেকে।
স্বর্ণা বলেন, অন্যদিকে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে ১ ডজনেরও বেশি ছাত্র হত্যা মামলার আসামি হয়েও নজরুল, সাইফুল, জাহিদুল আছেন বহাল তবিয়তে। আর আন্দোলন করে আমরা পথে পথে ঘুরছি। আমরা আমাদের পৈত্রিক জমি ফেরত চাই। কেনা প্লট বুঝে পেতে চাই। এ জন্য আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহম্মদ ইউনূসের হস্তক্ষেপ চাই।