Logo
Logo
×

সারাদেশ

সুনামগঞ্জে দাদির হাতে নাতি খুন

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০৬ পিএম

সুনামগঞ্জে দাদির হাতে নাতি খুন

ছবি : সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের কুশিউরা গ্রামে নিখোঁজের ৩ দিন পর শিশু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহর (৭ বছর) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডর ঘটনায় তার দাদি (বাবার মামী) বেদেনা খাতুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত বেদেনা খাতুন (৩৪) একই গ্রামের মো. জিয়ার স্ত্রী ও নিহত শিশু ইব্রাহিমের বাবা ইদ্রিছ আলীর মামী।

গত ৭ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় কুশিউড়া গ্রামের মনসুর আহমদের বাড়ির উঠানে সহপাঠীদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলার সময় ইব্রাহিম নিখোঁজ হলে পরদিন তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।

নিখোঁজের ৩ দিন পর ৯ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় শিশুরা খেলার সময় বল খুঁজতে গিয়ে পরিত্যক্ত একটি দালানের পাশে ইব্রাহিমের মরদেহ দেখতে পেয়ে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। শিশু ইব্রাহিমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন এবং ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করে পুলিশ এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে ধরে নেয়।

এ ঘটনায় ইদ্রিছ আলী অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্তের একপর্যায়ে সন্দেহভাজন হিসেবে ইব্রাহিমের দাদী বেদেনা খাতুনকে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তিনিই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে স্বীকার করেন।

বেদেনা খাতুন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, ওয়ারিশ সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে তিনি এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। ঘটনার দিন বেদেনা খাতুন কৌশলে ইব্রাহিমকে গেঞ্জি দিয়ে মুখ বেঁধে ও রশি দিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলে। এরপর তাকে মারধর ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে মরদেহ গুমের উদ্দেশ্যে পরিত্যক্ত পাকা দালানের পাশে ফেলে রাখেন।

দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল হক বলেন, বেদনা খাতুনকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয় এবং তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন