Logo
Logo
×

সারাদেশ

ঘন কুয়াশা আর শীতে বিপর্যস্ত চুয়াডাঙ্গায় জনজীবন

Icon

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৫ এএম

ঘন কুয়াশা আর শীতে বিপর্যস্ত চুয়াডাঙ্গায় জনজীবন

ছবি : সংগৃহীত

হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। একইসঙ্গে এই জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইতে শুরু করেছে। 

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ছয়টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৮ শতাংশ। বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান, শুক্রবার সকাল থেকে জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইতে শুরু করেছে। দিনের ও রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পাচ্ছে। ঠান্ডা বাতাসের কারণে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। সকাল নয়টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৮৮ শতাংশ। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশা পড়েছে।

তিনি আরও বলেন, হাড় কাঁপানো শীতে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে।

শৈত্য প্রবাহ শুরু হওয়ার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। খেটে খাওয়া আর ছিন্নমূল মানুষগুলো চরম দুর্ভোগে পড়ছে শীতের কারণে। শীতের কারণে মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে তেমন একটা বের হচ্ছে না।

হঠাৎ শীতের প্রকোপ বাড়ায় সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বাড়তে শুরু করেছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগের সংখ্যা। ডায়রিয়া নিউমোনিয়া শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। ভর্তি রোগীর সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি বহির্বিভাগে রোগীর ভিড় বেড়েছে অনেক বেশি।

চুয়াডাঙ্গা গাড়াবাড়িয়া গ্রামের কামাল হোসেন জানান, প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে মাঠে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। হাত অবস হয়ে যাচ্ছে। অনেকগুলো কাপড় পরেও শীত থেকে রক্ষা পাওয়া অসম্ভব হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা পলাশপাড়ার বাসিন্দা ইজিবাইক চালক নজরুল ইসলাম বলেন, শীত বেশি হওয়ায় লোকজন ঘরের বাইরে তেমন একটা বের না হওয়ায় ভাড়া কম হচ্ছে। পেটের দায়ে ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে। কিন্তু তেমন আয় হচ্ছে না।’

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন