কীর্তনখোলায় স্পিডবোটডুবি, নিখোঁজ আরও ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০০ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে বাল্কহেডের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে যাত্রীবাহী স্পিডবোট ডুবে যাওয়ার ঘটনায় নিখোঁজ আরও তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে এই তিনজনের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। এ নিয়ে এই দুর্ঘটনায় চারজনের মরদেহ উদ্ধার হলো।
নৌ পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে একে একে দুর্ঘটনাস্থল কীর্তনখোলা নদীর লাহারহাট খালের প্রবেশমুখে জনতার হাট সংলগ্ন নদীতে তিনটি মরদেহ ভেসে ওঠে। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা খবর পেয়ে মরদেহগুলো উদ্ধার করে।
উদ্ধার হওয়া তিনজন হলেন- স্পিডবোট চালক এবং ভোলা সদরের ভেদুরিয়ার উত্তর চর এলাকার মো. সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আল আমিন, যাত্রী ভোলা সদরের ধনিয়া এলাকার মো. শাহাব উদ্দিনের ছেলে ইমরান হোসেন ওরফে ইমন এবং পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নিওপাড়া এলাকার আজগর আলী হাওলাদারের ছেলে মো. রাসেল আমিন।
এখনেও একজন যাত্রীর নিখোঁজ থাকার তথ্য আছে। সজল দাস নামে ওই যাত্রী বরিশাল নগরের বিমান বন্দর থানার রহমতপুর এলাকার দুলাল দাসের ছেলে। তিনি ভোলায় ব্র্যাকের যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে চাকরি করতেন।
বরিশাল সদর নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনাতন সনাতন চন্দ্র সরকার বলেন, দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি স্থান থেকেই মরদেহ তিনটি উদ্ধার করা হয়েছে। এসব মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে পুলিশ। পরে তিনটি মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের- ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে দ্রুত পরিবারের কাছে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হবে।
গত বৃহস্পতিবার বিকালে জনতার হাট খেয়াঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে স্পিডবোটের এক যাত্রী মারা যান এবং এক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় স্পিডবোটের চালক ও কয়েকজন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছিল নৌ পুলিশ। তবে নিখোঁজদের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল না।
দুর্ঘটনার পর গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জালিস মাহমুদ নামে এক যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার হয়েছিল। তিনি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার বাসিন্দা জালিস হোসেন স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানিতে ভোলার বিক্রয় প্রতিনিধি (এসআর) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশ সদস্য মানসুর আহমেদকে উদ্ধার করে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি ভোলার দৌলতখান থানার কনস্টেবল ও বরগুনা সদরের বাসিন্দা।