সমুদ্রে জাহাজের সারি। ছবি : সংগৃহীত
স্বাধীনতার পর প্রথমবারে মতো পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে চট্টগ্রামে সরাসরি বাণিজ্যিক জাহাজ এসেছে। প্রথমবারের মতো এ জাহাজটি আসার পর এতে কী কী এসেছে তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন জাগায় এ নিয়ে নানা আলোচনার তৈরি হয়েছে। এ জাহাজে কী এসেছে তা জানিয়েছে কাস্টমস বিভাগ।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
করাচি থেকে গত ১৩ নভেম্বর প্রথমবারের মতো এ জাহাজ এসেছে। পাকিস্তান থেকে আসা জাহাজটির নাম এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং। পণ্য খালাসের পরদিনই জাহাজটি বন্দর ত্যাগ করেছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, আমাদের কাছে জাহাজে করে ৩৭০টি কন্টেইনার আসছে। তবে এসব কন্টেইনারে কী আছে তা কাস্টমস বিভাগ বলতে পারবে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান জানান, এসব কন্টেইনারে ফ্রেবিকস, চুনাপাথর, সোডা অ্যাশ, পেঁয়াজ, ম্যাগনেশিয়াম কার্বোনেট ও ডলোমাইট এসেছে। এগুলোর মোট ওজন ছয় হাজার ৩৩৭ টন। এরমধ্যে ১১৫ কন্টেইনারে সোডা অ্যাশ রয়েছে। এ ছাড়া ৪৬ কন্টেইনারে ডলোমাইট রয়েছে।
কাস্টমস বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, বেশিরভাগ কন্টেইনারে টেক্সটাইল শিল্পের কাঁচামাল রয়েছে। এ ছাড়া কাঁচশিল্পের কাঁচামাল, গাড়ির যন্ত্রাংশ, রং ও কাপড়ের কাঁচামাল রয়েছে। এ ছাড়া ৪২টি কন্টেইনারে পেঁয়াজ ও ১৪টি কন্টেইনারে আলু রয়েছে।
জানা গেছে, এসব পণ্যের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো আজিক গ্লাস কারখানা, প্যাসিফিক জিনস, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, নাসির গ্লাস, এক্স সিরামিকস, হাফিজ করপোরেশন এবং এম আর ট্রেডিংসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান জানান, সবগুলো কন্টেইনার করাচি থেকে লোড হয়নি। এরমধ্যে কিছু কন্টেইরার দুবাই থেকে বাংলাদেশে আনা হয়েছে। পাকিস্তান থেকে ২৯৭টি কন্টেইনার লোড করা হয়েছে। এ ছাড়া বাকিগুলো দুবাই থেকে এসেছে।
দুবাই থেকে আসা কন্টেইনারে খেজুর, মার্বেল ব্লক, কপার ওয়্যার, জিপসাপ এবং লোহার টুকরো। এ ছাড়া একটি কন্টেইনারে অ্যালকোহল জাতীয় কিছু পণ্য রয়েছে।