যশোরে যুবদল কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করলো দলীয় নেতারা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৪ পিএম
যশোরে যুবদল কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করলো দলীয় নেতারা
যশোরের ঝিকরগাছায় যুবদল কর্মী পিয়াল হাসান (২৭)’কে কারাগার থেকে মুক্তির এক দিন পর কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে ঝিকরগাছা পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। তিনি উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে।
নিহত পিয়াল মোবারকপুর বিশ্বাসপাড়া এলাকার কিতাব আলীর ছেলে। তিনি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমরান সামাদ নিপুনের কর্মী। পিয়ালের নামে বিস্ফোরক আইনসহ ১০টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানিয়েছে, রাজনীতির পাশাপাশি পিয়াল ঝিকরগাছা বাজারে মুরগির ব্যবসা করতেন। গত ৫ আগস্ট বাজারে নিজ দলের আধিপত্যে বিস্তার নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর নুরুজ্জামান বাবুর অনুসারী পৌর ছাত্রদলের সভাপতি শামীম রেজার সঙ্গে বিরোধ হয়। সেই বিরোধের জেরে ওইদিন কাউন্সিলর বাবু, পৌর ছাত্রদল নেতা শামীম রেজাসহ কয়েকজন পিয়ালের দোকান ভাঙচুর করেন। এর জেরে পিয়ালও শামীম রেজার বাবা কামরুলকে পিটিয়ে আহত করে। সেই মামলায় সম্প্রতি তিনি আত্মসমর্পণ করলে কারাবরণ করে গত বৃহস্পতিবার তিনি জামিনে মুক্ত পান। ওইদিন রাতেই ছাত্রদল নেতা শামীম রেজাসহ কয়েকজন পিয়ালের বাড়িতে হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ ও তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসে।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ আবারও পিয়ালের দোকানে আসেন কাউন্সিলর বাবু, শামিমসহ কয়েকজন। সেখানে নিজ অপরাধের অনুতপ্ত হয়ে শামীম রেজার কাছে ক্ষমা চান পিয়াল। কিন্তু সেখানে পিয়ালকে ক্ষমা না করে কুপিয়ে আহত করে শামীম ও তার সহযোগীরা। এর পর প্রাণ বাঁচাতে পিয়াল বাজার থেকে পালালে তাকে উদ্দেশ্য করে বোমা নিক্ষেপ করা হয়। বোমা লক্ষভ্যষ্ট হলে তিনি আবার পালিয়ে স্থানীয় পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভেতরে আশ্রয় নেন। সেখানে একটি বারান্দায় পিয়ালকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায় কাউন্সিলর বাবু ও শামীমরা। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, এরপর যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।