ইটনায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার জানাযায় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৭ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
প্রজেক্টরের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলায় বিএনপির চেয়ারপারসন, গণতন্ত্রের মা, তিন বারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাযার নামাজে অংশগ্রহণ করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টা ৩ মিনিটে উপজেলা সদরের মিনি স্টেডিয়ামে প্রজেক্টরের মাধ্যমে জানাযার নামাজটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। জানাযা উপলক্ষে স্টেডিয়াম ও আশপাশের এলাকায় শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ধর্মপ্রাণ মানুষ দলে দলে এসে জানাযায় অংশ নেন এবং বেগম খালেদা জিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করেন।
জানাযার নামাজে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম কালাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর জামান ঠাকুর স্বপন, সিনিয়র সহসভাপতি মো. মনির উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্মসাধারণ সম্পাদক পলাশ রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ইসলাম জুয়েলসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিএনপি নেতাকর্মীরা। এছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জানাযায় অংশগ্রহণ করেন।
জানাজায় অংশ নিতে আসা নেতাকর্মীরা কথা বলতে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা বলেন, সারাটা জীবন শুধু দেশের মানুষের চিন্তা করেছেন। শেখ হাসিনার এত অত্যাচার নির্যাতন সত্ত্বেও দেশ ছাড়ার কথা একবারও চিন্তা করেননি বেগম খালেদা জিয়া।বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন একজন আদর্শবান রাজনীতিবিদ। তার রাজনৈতিক দর্শন, চিন্তাভাবনা এ প্রজন্মের মানুষের কাছে শিক্ষণীয়। তিনি কখনও কোনও অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। তিনি এই বাংলার মুক্তিকামী মানুষের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
অনুষ্ঠানটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করেন। জানাযা শেষে বিএনপি নেতারা উপস্থিত সবার কাছে মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করার আহ্বান জানান।
৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস এবং চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৭ জানুয়ারি রাতে কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ বিমানের মাধ্যমে ঢাকা ত্যাগ করেন এবং ৮ জানুয়ারি লন্ডনে পৌঁছান। চিকিৎসা শেষে গত ৬ মে তিনি দেশে ফেরেন।
গত ২৩ নভেম্বর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে খালেদা জিয়াকে দ্রুত রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। তারপর থেকে সেখানেই তার চিকিৎসা চলছিল। তাকে বিদেশে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও শেষ পর্যন্ত স্বাস্থ্যের অবনতির কারণে নেওয়া যায়নি। এভারকেয়ারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোরে তিনি মারা যান।



