আনুষ্ঠানিকভাবে এনসিপিতে যোগ দিয়ে মুখপাত্র হলেন আসিফ, করবেন না নির্বাচন
অনলাইন ডেস্ক :
প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৩২ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
আনুষ্ঠানিকভাবে এনসিপিতে যোগ দিয়েছেন সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। দলীয় মুখপাত্র হিসেবে এনসিপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না তিনি।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর রূপায়ন টাওয়ারে এনসিপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়াকে এনসিপির মুখপাত্রের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে তিনি নির্বাচনে এবার অংশগ্রহণ করবেন না। অংশগ্রহণকারীদের জন্য নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করবেন।
নাহিদ আরও বলেন. আসন সমঝোতা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে এখনও পর্যন্ত ৪৭ টি আসনে প্রার্থীর মনোনয়ন দিয়েছি। বাতিল হতে পারে ভেবে কিছুটা বাড়িয়েই দিয়েছি।
এ সময় আসিফ মাহমুদ দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সংস্কার কার্যক্রম এবং ভবিষ্যতে তার দলের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের শহিদদের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য আমি আজ এনসিপিতে যোগ দিয়েছি। আমি এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি না। আমি মনে করি, আমার একজনের সংসদে যাওয়ার চেয়ে আমাদের জুলাই অভ্যুত্থানের বহু সহযোদ্ধাদের সংসদের যাওয়ার ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারি, এর চেয়ে বড় সাফল্য আর কিছু হতে পারে না। এছাড়াও গণভোটে হ্যাঁ ভোট দিতে সবার প্রতি আহবানও জানান তিনি।
এর আগে ঢাকা ১০ থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়ন পত্রও সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। একই সাথে তার সমর্থকরা কুমিল্লা ৩ আসন থেকেও মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। সেসময় উপদেষ্টা পরিষদে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ। পরবর্তীতে মাহফুজ আলম উপদেষ্টা পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নাহিদ পদত্যাগ করেন এবং পরবর্তীতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়কের দায়িত্ব নেন। নাহিদের পদত্যাগের পর তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হন মাহফুজ আলম।
গত ১০ ডিসেম্বর মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ পদত্যাগ করেছেন। আসিফ মাহমুদ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছিলেন।



