Logo
Logo
×

সারাদেশ

গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হত্যা মামলার আসামি শেখ সেলিমসহ ১৬১৭ জন

Icon

গোপালগঞ্জ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২২ পিএম

গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হত্যা মামলার আসামি শেখ সেলিমসহ ১৬১৭ জন

শেখ ফজলুল করিম সেলিম। ছবি : সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা শওকত আলী দিদার হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমসহ ১১৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে নিহতের স্ত্রী রাবেয়া রহমান গোপালগঞ্জ সদর থানায় এ মামলা করেছেন।

নিহত শওকত আলী দিদার ঢাকার জুরাইন এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

ওসি বলেন, ঘটনার পর মামলা না হলেও সন্দেহভাজন হিসেবে ২১ জনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়ছে। এজাহারের মধ্যে তাদের কারো নাম থাকলে তাকে এ মামলার আসামি হিসেবে গণ্য করা হবে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এজাহারের বরাতে তিনি জানান, গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪টায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী স্ত্রী সন্তানসহ বাবা-মায়ের কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে গ্রামের বাড়ি টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতী যাচ্ছিলেন। তার সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) সেলিমুজ্জামান সেলিমসহ কয়েক শত নেতা-কর্মীর গাড়ি বহর ছিল। গাড়ি বহরে ছিলেন, শওকত আলী দিদারও। বহরটি বিকাল ৪টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক দিয়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চরপাথালিয়া এলাকায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের সন্ত্রাসীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র টেটা, রামদা, বল্লাম, চাইনিজ কুড়াল, ধারালো ছোরা ও লাঠিসোটা দিয়ে গাড়ি বহরে হামলা চালায়। এ সময় শওকত আলী দিদারকে গাড়ি থেকে নামিয়ে লাঠি ও কাঠ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে মহাসড়কের ঢালে ফেলে রাখে।

মামলাযর উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন বিজিএমইএর সভাপতি ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, সভাপতি কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী ও সাবেক এমপি নাজমা আক্তার, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও  সাবেক বেসামরিক বিমান, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী ফারুক খানের মেয়ে কান তারা খান, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান এবং সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাব উদ্দিন আজম, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল বাশার খায়ের, সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভগেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক শেখ আয়নাল হোসেন, মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল আলম শিকদার, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান টুটুল, কাশিয়ানী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সিদ্দিক সিকদার, গোপালগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম কবির, সাধারণ সম্পাদক আলীমুজ্জামান বিটু, মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়রসহ সভাপতি হুজ্জাত হোসেন লিটু মিয়া, টুঙ্গিপাড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টার দিকে গোপালগঞ্জ জেলা শহরের বেদগ্রাম মোড়ে জেলা বিএনপি আয়োজিত পথসভা শেষে এস এম জিলানীর বাড়ি টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা হন। পথে ঘোনাপাড়া মোড়ে পৌঁছালে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের দুই থেকে তিনশ নেতাকর্মী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিতে হামলা করেন। এতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের অন্তত ৩৫ জন নেতাকর্মী আহত হন। এ ঘটনায় সেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার নিহত হন।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন