মুন্সিগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী লালু গ্রেপ্তার, চার হত্যা মামলাসহ ২৩ মামলার আসামি কারাগারে
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫০ এএম
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও চারটি হত্যা মামলাসহ মোট ২৩ মামলার আসামি সাজেদুল হক লালু (৪৫) এবং তার তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দিনভর নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ও রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। রাত ১২টার দিকে জেলা পুলিশের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন গজারিয়া উপজেলার হোগলাকান্দি গ্রামের মৃত মনির হোসেনের ছেলে সাজেদুল হক লালু (৪৫), চৌদ্দকাউনিয়া গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে শাকিল (২৭), একই গ্রামের মৃত মাহমুদ হোসেনের ছেলে আলাউদ্দিন (৬৫) এবং জসিম (৪৫)।
গজারিয়া থানা সূত্র জানায়, গত ২৬ নভেম্বর রাতে উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের চৌদ্দকাউনিয়া গ্রামে টিকটক ভিডিও বানানোর কথা বলে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে জয় সরকার (২৫) নামের এক যুবককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। গ্রেপ্তার চারজনই ওই হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। ঘটনার পর থেকেই তাঁরা আত্মগোপনে ছিলেন।
আসামিদের গ্রেপ্তারে র্যাব যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে র্যাব-৩ শীর্ষ সন্ত্রাসী লালুকে গ্রেপ্তার করে। অন্যদিকে র্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে শাকিলকে, কাঁচপুর বালুর মাঠ এলাকা থেকে আলাউদ্দিনকে এবং ফতুল্লা থানা এলাকা থেকে জসিমকে গ্রেপ্তার করে। বুধবার গভীর রাতে তাঁদের গজারিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান আলী বলেন, লালু গজারিয়া উপজেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে চারটি হত্যা মামলাসহ অস্ত্র, মাদক ও মারামারির ঘটনায় অন্তত ২৩টি মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের খবরে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। পলাতক অন্য আসামিদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে শীর্ষ সন্ত্রাসী লালু গ্রেপ্তারের খবরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন জয় সরকার হত্যা মামলার বাদী ও নিহতের বোন জান্নাতি আক্তার এবং শুটার মান্নান হত্যা মামলার বাদী, নিহতের স্ত্রী সুমী আক্তার।
মান্নানের স্ত্রী সুমী আক্তার বলেন, ঘটনার প্রায় ছয় মাস পর লালু আইনের আওতায় এসেছে। ২৮ জুলাই মান্নান হত্যার পর যদি তাকে তখনই গ্রেপ্তার করা হতো, তাহলে হয়তো সে আর কাউকে হত্যা করতে পারত না। আমি চাই, সে যেন জামিন না পায় এবং আইনের সর্বোচ্চ শাস্তি পায়।



