নিখোঁজের ২৪ দিন পর কুরআনের হাফেজের মরদেহ উদ্ধার
নরসিংদী প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৪ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
নরসিংদীতে নিখোঁজের ২৪ দিন পর আব্দুল্লাহ (১৩) নামে মাদ্রাসা ছাত্র কুরআনের হাফেজের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে শিবপুর উপজেলার বড়ইতলা এলাকায় থার্মেক্স গ্রুপের আদুরী গার্মেন্টস এর ইটিপি প্লান্টের ময়লার ড্রেন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত ২২ নভেম্বর তার মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরেনি।
আব্দুল্লাহ পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের সেকান্দরদী গ্রামের মুক্তার হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সেকান্দরদী মধ্যপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র আব্দুল্লাহ। গত ২২ নভেম্বর মাদ্রাসা থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর ফিরেনি। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে পলাশ থানায় সাধারণ ডায়েরি করে পরিবার।
মঙ্গলবার সকালে থার্মেক্স গ্রুপ এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়ালে আশেপাশের লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আদুরী গার্মেন্টস এর ইটিপি প্লান্টের ময়লার ড্রেন থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছেন। পরে পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে নরসিংদী সদর হাসপাতালে এসে আব্দুল্লাহর পরিচয় সনাক্ত করে।
আব্দুল্লাহর চাচাতো ভাই শাহাদাত হোসেন বলেন, আদুরী গার্মেন্টসের গেইটের বাহিরে একটি ড্রেনের মুখ ও ভিতরে ড্রেনের মুখ রয়েছে। এছাড়া বাহিরে আর কোনো ড্রেনের মুখ নেই। যারা তাকে হত্যা করেছে, তারা হয় গেইটের বাহিরে থেকে, নইতো কোম্পানীর ভিতর থেকে লাশ ড্রেইনে ফেলেছে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই।
এব্যাপারে আব্দুল্লাহর পিতা মুক্তার হোসেন বলেন, আমার ছেলে ২৭ পাড়া কুরআন শরীফ মুখস্ত করেছে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর কুরআনে হাফেজ শেষে পাগড়ি পাওয়ার কথা। কিন্তু কে বা কারা আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ড্রেনের ভিতর ফেলে রেখেছে। আমি আমার সন্তানের হত্যাকারীদের বিচার চাই।
শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কোহিনুর মিয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আব্দুল্লাহ’র মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ময়না তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।



