পাইকগাছায় বিতর্কিত ও অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবী
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৪৬ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
খুলনার পাইকগাছায় সরকারি বিধি না মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিনিময়ে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে কয়েক লাখ টাকা। যোগ্যদের নিয়োগ না দিয়ে অযোগ্য ও অদক্ষ লোক নিয়োগ করায় এলাকা জুড়ে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। অবৈধ পন্থায় দেওয়া নিয়োগ বাতিল করে পুন: নিয়োগের দাবীতে পাইকগাছা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এলাকাবাসীর পক্ষ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, পাইকগাছার খড়িয়া নবারুণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গত ২০২৩ সালের ১ লা অক্টোবর পাঁচটি পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এই নিয়োগের বিরুদ্ধে একই বছরের ১৯ অক্টোবর খুলনা জেলা জজ আদালতে ১৮৪/২৩ নং মামলা দায়ের করা হয়। মামলা চলাকালীন অবস্থায় ২০২৪ সালের ২ জুন পদ সংখ্যা কমিয়ে ৩ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর পরে গত ২০২৪ সালের ২ জুলাই জেলা শিক্ষা অফিস, উপজেলা শিক্ষা অফিস ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়। মামলা চলমান থাকার ও বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগের পরেও একই বছরের ৪ জুলাই নিয়োগ পরীক্ষার কার্ড বিতরণ করা হয়।
একই মাসের ১২ তারিখে ম্যানেজিং কমিটির এক অংশকে অনুপস্থিত রেখে নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অতি গোপনে অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষার বিষয় জানতে পারার পর এলাকাবাসী ১৬ জুলাই মানববন্ধন, ঝাড়ু মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন করেন। পরে এলাকাবাসীর পক্ষে স্থানীয় নিতাই চন্দ্র সরকারের ছেলে প্রকাশ চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রশাসক, দুর্নীতি দমন কমিশন আঞ্চলিক কার্যালয় খুলনা, মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সহ বিভিন্ন দপ্তরে এ নিয়োগের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর ইমান উদ্দিনকে তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করেন। তদন্ত শেষে ইন্সট্রাক্টরের দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায় নিয়োগের বিধি অনুযায়ী ফলাফল প্রকাশের পর ৩০ কার্য দিবসে নিয়োগ প্রাপ্ত ব্যক্তিদেরকে নিয়োগপত্র দেওয়ার বিধান থাকলেও তাদেরকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোন নিয়োগপত্র দেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা বিগত ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর লিখিত ভাবে তদন্ত কর্মকর্তাকে জানান যে তাদেরকে কোন নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়নি। যা ২০২৪ সালে ১০ জানুয়ারি মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়মের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার দীর্ঘ প্রায় ১৪ মাস পরে নিয়োগ প্রাপ্ত ব্যক্তিদেরকে অতি গোপনে বিলুপ্ত ম্যানেজিং কমিটির একটি অংশকে ডেকে এনে গোপনে স্বাক্ষর করিয়া এডহক কমিটির ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে পিছনের তারিখ দেখিয়ে নিয়োগ পত্র প্রদান করায় হয়। স্কুলের প্রধাধ শিক্ষক দিপক চন্দ্র সরকার ও তাদের পরিবারের সদস্যরা ভারতের বাসিন্দা বলে জানানো হয়। এজন্য অবৈধ পন্থায় দেওয়া নিয়োগ বাতিল করে পুনঃ নিয়োগের দাবী জানানো হয়।



