হাটহাজারী গড়তে আলেম প্রার্থীর হাতকে শক্তিশালী করুন: খলিল আহমদ কুরাইশী
হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৪০ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
চট্টগ্রাম-৫ হাটহাজারী-বায়েজিদ আংশিক) আসনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ মনোনীত এম পি পদপ্রার্থী মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির এর সমর্থনে ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক মুফতী খলিল আহমদ কুরাইশী কাসেমী বলেন,সমৃদ্ধ,শান্তিপূর্ণ ও শিক্ষাবান্ধব হাটহাজারী গড়তে যোগ্য ও নীতি-নিষ্ঠ নেতৃত্বের বিকল্প নেই।একজন আলেম এম পি হলে তিনি সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারেন এবং শিক্ষিত,শালীন ও ইসলামি মূল্যবোধভিত্তিক নেতৃত্বের মাধ্যমে হাটহাজারীকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিতে পারেন।
হাটহাজারীর মানুষ আলেমপ্রিয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন,এই অঞ্চলের মানুষ আলেম সমাজের প্রতি আস্থাশীল।একজন আলেম প্রার্থী নির্বাচিত হলে সমাজসেবা, শিক্ষার উন্নয়ন, ধর্মীয় মূল্যবোধ, বেকারত্ব নিরসন ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবেন।
মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনিরকে নিজের হাতে গড়া ছাত্র উল্লেখ করে হাটহাজারী মাদরাসার সদরুল মুদাররিস ও শায়খুল হাদীস আল্লামা শেখ আহমদ বলেন,মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির আমার হাতে গড়া ছাত্র।বিগত সময়ে আমার পরামর্শে সে উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে এবং অত্যন্ত সুনামের সাথে হাটহাজারী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব আঞ্জাম দিয়েছে।আমি খবর নিয়েছি,দায়িত্ব পালনকালে সে এক টাকার দুর্নীতিও করেনি।যতটুকু পেরেছে হাটহাজারীর সার্বিক উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছে।একজন শিক্ষক হিসেবে আমি সবসময়ই চাই আমার ছাত্ররা সমাজে আলো ছড়াক, মানুষের উপকারে আসুক এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করুক।যে ছাত্রের মাঝে সততা, দায়িত্ববোধ, জনসেবার মানসিকতা এবং নৈতিক আচরণের প্রতিফলন দেখা যায়—সে যেকোনো অবস্থানেই সমাজের উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখতে পারে। সমাজ তখনই এগিয়ে যায়, যখন শিক্ষিত, চরিত্রবান এবং মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ দায়িত্বশীল ভূমিকায় আসে।আলহামদুলিল্লাহ,আমি গর্ব করে বলতে পারি,মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনিরের মাঝে উল্লিখিত সব গুণই রয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনিরের মাধ্যমে হাটহাজারীর সার্বিক উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন হবে উল্লেখ করে হাটহাজারী মাদরাসার মুঈনে মোহতামিম মুবাল্লিগে ইসলাম আল্লামা মুফতী জসিম উদ্দিন বলেন,হাটহাজারীর মানুষ উন্নয়ন, শান্তি এবং ন্যায়ভিত্তিক নেতৃত্ব চায়। আমি বিশ্বাস করি—অভিজ্ঞ, সৎ, নীতিবান এবং জনগণের সমস্যার প্রতি আন্তরিক একজন আলেম প্রার্থী এই অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে সক্ষম হবেন। তিনি শুধুমাত্র নেতৃত্বই দেবেন না; বরং শিক্ষার অগ্রগতি, নৈতিক সমাজ গঠন, তরুণদের সঠিক পথে এগিয়ে নেওয়া এবং মাদক ও অপরাধমুক্ত হাটহাজারী গঠনে ভূমিকা রাখবেন।এখন সময় এসেছে যোগ্য, নৈতিক ও দূরদর্শী নেতৃত্বকে সামনে আনার। আসুন, সমৃদ্ধ হাটহাজারী গড়তে আমরা সবাই আলেম প্রার্থীর হাতকে শক্তিশালী করি।
নিজেকে হাটহাজারীর গণমানুষের পরীক্ষিত বন্ধু উল্লেখ করে মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির বলেন,গত ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমাকে হাটহাজারীর গণমানুষ এবং ওলামায়ে কেরাম ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করেছিলেন। যার কারনে আমার সাধ্যমত প্রান্তিক এবং মজলুম মানুষের পাশে থেকে মাদরাসা ,মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা সহ সর্বস্তরে সেবা করার সুযোগ হয়েছিল। আমি হাটহাজারীর মানুষের পরীক্ষিত বন্ধু। অবহেলিত এই হাটহাজারীকে আধুনিক, নিরাপদ এলাকায় পরিণত করার জন্য আপনারা আমাকে পুনরায় সুযোগ প্রদান করবেন।আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপমহাদেশের প্রাচীনতম ধর্মীয় রাজনৈতিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। আমি নির্বাচিত হলে হাটহাজারী আসনকে একটি মডেল জনপদ হিসেবে গড়ে তুলব ইনশাআল্লাহ । এই আসনের সকল উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ড জনগণের মতামতের ভিত্তিতে পরিচালিত হবে, যেখানে থাকবে না কোনো সন্ত্রাস, মাদক,ইভটিজিং ও চাঁদাবাজ। আমি জনগণের সেবক হতে চাই।
বুধবার (১০ই ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হাটহাজারী কনক কমিউনিটি সেন্টারে ওলামা মাশায়েক সম্মেলনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ হাটহাজারী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা এমরান সিকদারের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন হাটহাজারী মাদরাসার মুহাদ্দিস যথাক্রমে আল্লামা শাহ আহমদ দীদার কাসেমী,আল্লামা ফোরকান আহমদ,আল্লামা ওমর কাসেমী,চারিয়া মাদরাসার মহাপরিচালক মাওলানা ওসমান সাঈদী,মেখল মাদরাসা মহাপরিচালক মাওলানা ওসমান ফয়জী,ফতেপুর নাছেরুল ইসলাম মাদরাসার মহাপরিচালক মাওলানা মাহমুদুল হাসান,মদুনাঘাট ইউনুসিয়া মাদরাসা মহাপরিচালক মাওলানা শিহাব উদ্দিন,খন্দকিয়া কাশেফুল উলূম মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আমির উদ্দিন,জামিয়া উম্মুল ক্বোরার পরিচালক মাওলানা আবু তৈয়ব আব্দুল্লাহপুরী,জামিয়া রশিদিয়ার পরিচালক মুফতী আব্দুল আজিজ,গড়দুয়ারা মাদরাসার পরিচালক মাওলানা ইদরিস,মাদার্শা মাদরাসার পরিচালক মাওলানা ইবরাহীম,ইছাপুর মাদরাসা পরিচালক মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ নোমানী,দারুস সুফফাহ মাদরাসা পরিচালক মুফতী সিরাজ উল্লাহ,শাহ ওয়ালিউল্লাহ মাদরাসার পরিচালক মাওলানা সফিউল্লাহ,বাথুয়া মাদরাসার সহকারী পরিচালক মুফতী উবাইদুল্লাহ,চারিয়া মাদরাসার শায়খুল হাদীস মাওলানা শেখ আহমদ,মেখল মাদরাসার প্রধান মুফতী মাওলানা মুফতী মুহাম্মদ আলী কাসেমী,মাওলানা কাজী নূরুল আলম,পটিয়া মাদরাসা মুহাদ্দিস মাওলানা আখতার,বোয়ালিয়া মাদরাসার শায়খুল হাদীস মাওলানা জাফর আহমদ,নাজিরহাট বড় মাদরাসার শিক্ষা পরিচালক মাওলানা হাবিবুল্লাহ নদভী,আল আমিন সংস্থার সেক্রেটারি জেনারেল জনাব মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ,চারিয়া মাদরাসার প্রধান মুফতী মাওলানা মুফতী তৈয়ব কাসেমী,হাটহাজারী মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক যথাক্রমে মাওলানা শোয়াইব আলমপুরী,মাওলানা আনোয়ার শাহ আযহারী,মেখল মাদরাসার সহকারী শিক্ষা পরিচালক মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জী,মাওলানা আলমগীর মাসউদ আরবনগরী,মাওলানা হাফেজ আলী আকবর,মাওলানা মাহমুদুল হোসাইন,মাওলানা ইয়াছিন,মাওলানা আব্দুল্লাহ,মাওলানা তাজুল ইসলাম,মুফতি বশিরুল করিম,মুফতী তৌহিদ আহমদ,মাওলানা আব্দুল মাবুদ প্রমূখ আলেমগণ।



