পঞ্চগড়ে বাড়ছে শীতের দাপট, তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমেছে ১২ ডিগ্রি
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:২৮ পিএম
উত্তরের সীমান্তজেলা পঞ্চগড়ে শীতের পর্দা ধীরে ধীরে ঘন হতে শুরু করেছে। আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড হয় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসে আর্দ্রতা ৯২ শতাংশ—পুরো পরিবেশ যেন কুয়াশায় মোড়া এক নিঃশব্দ সকাল।
গত কয়েক দিন থেকেই তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে ঘুরপাক খাচ্ছে, আর শীতের আঁচ বাড়ছে ক্রমেই। পঞ্চগড় সদর এলাকার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, চারপাশে কুয়াশার নরম আবরণ, মানুষজন গরম কাপড়ে গুটিসুটি মেরে বের হচ্ছে প্রয়োজনীয় কাজে। কেউ মাঠে হালচাষে ব্যস্ত, পূর্ব আকাশে সূর্য ওঠার পরও তার তাপে নেই কোনো উষ্ণতার ছাপ।
তালমার নাজমা বেগমের কথায় শীতের অস্বস্তির পুরো ছবি ধরা পড়ে। তিনি বলেন, সকাল-বিকেল ঠান্ডা এতটাই তীব্র যে ঘর থেকে বের হলেই বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। সন্তানদের নিয়ে চিন্তায় কাটছে দিন। আর দিনমজুর মিজানুর রহমান জানালেন, শীতে কাজ পাওয়া কঠিন হয়ে গেছে। কুয়াশায় চোখে কিছু পড়ে না, ঠান্ডায় হাত-পা জমে থাকে, কাজের গতি থমকে যায়।
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তারও জানায় একই দুর্ভোগ। সকালে কলেজ আর প্রাইভেটে যেতে যেন ছোট্ট যুদ্ধ। ঠান্ডা এমন যে গ্লাভস ছাড়া সাইকেলের হ্যান্ডেল ধরা যায় না।
জেলায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী, সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত শিশু ও বৃদ্ধ। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট আর হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনের অ্যালার্জিতে হাসপাতালগুলোতে ভিড় বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার বড় ব্যবধান শরীরের ওপর বাড়তি চাপ ফেলে, বিশেষ করে যাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম তাদের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সতর্কতা জরুরি।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত আরো বাড়তে পারে। সামনে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কাও রয়েছে।



