শীতেও সবজির দামে আগুন: নতুন আলু ১৪০, পেঁয়াজে নাভিশ্বাস
গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪০ পিএম
শীতের অনুকূলে সবজি সস্তা হওয়ার যে স্বস্তি, তা এবার বাজারে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গাংনীর বাজারগুলোতে সবজির দাম এক ধরনের উর্ধ্বগতি-নৃত্য করছে, আর ক্রেতাদের হাঁপিয়ে উঠতে হচ্ছে প্রতিদিনের বাজারসফরে। নতুন আলুর দেখা মিলেছে ঠিকই, তবে দাম কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা—প্রায় আকাশপানে হাত বাড়ানো পরিস্থিতি। পুরোনো আলু মিলছে ১০০ টাকায় ৪-৫ কেজি, যা বাজারের অস্থিরতার একটি তীব্র বৈপরীত্যই যেন।
শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বামন্দী বাজারে দেখা গেছে, নতুন পেঁয়াজ বিক্রয় হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি। পুরোনো পেঁয়াজ ১২০ টাকা কেজি এবং রসুনের কেজি ৭০ টাকা। নতুন আলু ১৪০ টাকা কেজি এবং পুরোনো আলু ১০০ টাকায় ৪-৫ কেজি। প্রতিটি সবজির দামও বেশি। ব্যবসায়ী ও বাজার করতে আসা বিভিন্ন ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজারেই দাম বেশি, তাই তাদের বিক্রয়মূল্যও বেড়েছে। কিন্তু ক্রেতাদের বক্তব্য—মনিটরিং দুর্বল, তাই দামের লাগামহীন দৌড়।
বাজার করতে আসা লিটন আহমেদ বিরক্তির সুরে বলেন, নতুন আলু ১৪০ টাকা! নতুন পেঁয়াজ ১০০! বাজার করে কারও শান্তি নেই।
নিম্ন আয়ের শফিকুল ইসলাম বলেন, যা আয় করি, সব খাবারেই শেষ। কোনো সঞ্চয়ের সুযোগ নেই।
আর আকাশ হোসেন মনে করছেন, বাজারে কোনো সিন্ডিকেট আছে কি না—তা খতিয়ে দেখা জরুরি।
সবজি বিক্রেতা তমছের আলী জানান, বেগুন ৬০ টাকা, ফুলকপি ৬০, শসা ৮০, টমেটো ১০০, মুলা ৪০, করলা ৭০–৮০, বরবটি ১০০, গাজর ৮০ টাকা—সবকিছুর দামই চড়া।
অন্যদিকে ব্যবসায়ী রাজু আহমেদ বলেন, আমরা বেশি দামে কিনেছি, তাই বিক্রি করতেও হচ্ছে বেশি দামে।
গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন জানান, এলাকায় সবজি উৎপাদন বেড়েছে ঠিকই, তবে ঢাকায় বেশি চাহিদা থাকায় স্থানীয় বাজারে প্রভাব পড়ছে। নতুন আলুর দাম সাময়িকভাবে বেশি, আশা করা হচ্ছে দ্রুতই কমবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন আশ্বস্ত করে বলেন, বাজার মনিটরিং হবে। অযৌক্তিক দাম বৃদ্ধি বা সিন্ডিকেট তৈরি হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



