পাকুন্দিয়ায় জমি নিয়ে বিরোধে যুবক নিহত
কিশোরগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ০১:২৫ পিএম
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে মাহবুব জিয়া (৪০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দ্রুত বিচার ও পরিবারের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন পরিবার।
এ ঘটনায় বুধবার (২৬ নভেম্বর) নিহতের বড় ভাই নাছির উদ্দিন বাদী হয়ে পাকুন্দিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পরে রাতে জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের চরকাওনা (মুনিয়ারিকান্দা) গ্রামের চরকাওনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা নামাজে আগে পরিবারের পক্ষ থেকে এ হত্যার ঘটনায় দ্রুত বিচার ও পরিবারের নিরাপত্তার দাবি জানানো হয়। এসময় নিহতের ভাই ও মামলার বাদী নাছির উদ্দিন, স্ত্রী তানিয়া, বাদল মিয়াসহ স্বজন ও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ২৩ নভেম্বর বিকেল ৫টার দিকে জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের চরকাওনা মুনিয়ারিকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত মাহবুব জিয়া জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের চরকাওনা মুনিয়ারিকান্দা গ্রামের মৃত ছলিম মাস্টারের ছেলে।
পুলিশ ও পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশীদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে গত ২৩ নভেম্বর বিকেল ৫টার দিকে মাহবুব জিয়া, রফিক ও সায়িম মুনিয়ারিকান্দা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ইলিয়াস মিয়া (৪৫), ফরহাদ মিয়া (৩৫), সামাদ (২৫), তানভির (২২), সুরমা আক্তারসহ সংঘবদ্ধ একটি দল চাপাতি, রামদা, লোহার রড, ইট ও লাঠিসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে মাহবুব জিয়া, রফিক ও সায়িম গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে গতকাল মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) মাহবুব জিয়ার মৃত্যু হয়। আহতদের একজন এখনো ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। হামলায় বাধা দিতে গেলে হুমাইরা, তানিয়াসহ আরও কয়েকজন আহত হন।
পরিবারের অভিযোগ, হামলার পর সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় আজ বুধবার নিহতের বড় ভাই নাছির উদ্দিন বাদী হয়ে পাকুন্দিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেন, যা পরে হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সকল আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার, সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং পরিবারের নিরাপত্তা দেওয়ার দাবি জানায়।
পাকুন্দিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মোবারক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পর এজাহারভুক্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



