বগুড়ায় হানিট্র্যাপে কৃষি কর্মকর্তা, বাদীর বিরুদ্ধে চার্জশিট
বগুড়া প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:১৭ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
বগুড়ার কৃষি বিভাগের উপপরিচালক (জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার) মুহা. মশিদুল হককে ফাঁদে ফেলে চাঁদা আদায়ের চেষ্টার ঘটনায় হানিট্র্যাপ ও চাঁদাবাজি মামলায় দু’জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ।
তদন্তে উঠে এসেছে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের নাটক সাজিয়ে কৃষি কর্মকর্তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা হয়েছিল। তবে ওই নারীর করা ধর্ষণ মামলার অভিযোগের কোনো ভিত্তি পায়নি পুলিশ। আদালতে ওই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে মশিদুল হককে দায়মুক্তি দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। তিনি জানান, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণে স্পষ্ট হয়েছে অভিযোগকারী নারী রত্না পারভীন নিপার দাবি সত্য নয়। অপরদিকে কৃষি কর্মকর্তার হানিট্র্যাপ ও চাঁদা দাবির মামলায় আলামত ও সাক্ষ্যে অভিযুক্তদের সম্পৃক্ততা পরিষ্কার হয়েছে।
চার্জশিটে বলা হয়, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হন কর্মকর্তা মশিদুল হক। গত ১৫ জুন রাতে অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে শহরের জলেশ্বরীতলা ইয়াকুবিয়া মোড়ে তাকে কৌশলে আটকে নিয়ে যায় একদল ব্যক্তি। ধারালো অস্ত্রের মুখে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। পরে নারীর সঙ্গে সাজানো অন্তরঙ্গ দৃশ্য ধারণ করে তাকে ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা করা হয়। ঘটনার প্রায় ছয় সপ্তাহ পর, ১ আগস্ট সদর থানায় মামলা করেন তিনি।
তদন্ত শেষে পুলিশ ১০ অক্টোবর রত্না পারভীন নিপা ও সেউজগাড়ীর সৌরভ নামের দুইজনকে চার্জশিটভুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয়।
ঘটনার নাটকীয়তা, ব্ল্যাকমেইল ও মিথ্যা মামলার অভিযোগ। সব মিলিয়ে এই ঘটনা বগুড়ায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।



