ছবি : সংগৃহীত
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে এবং প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে পুড়ে যাওয়া দোকান মালিকরা জানিয়েছেন।
গতকাল শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাতে পাকুন্দিয়া পৌরসভার ডিগ্রি কলেজগেট এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে পাকুন্দিয়া ডিগ্রি কলেজের সামনে একটি ফুচকার দোকান থেকে প্রথমে ধোঁয়া উঠতে দেখতে পান স্থানীয়রা। অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে এবং পাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের লোকজন প্রথমে নিজ উদ্যোগে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। এসময় আগুনের তীব্রতায় পুরো এলাকায় ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়, স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কে ঘরবাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পাকুন্দিয়া ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় এক ঘণ্টা প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুনের সূত্রপাতের বিষয়ে কেউ বলতে পারেনি।
আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকানগুলো হলো, ফুচকার দোকান, টাইলসের দোকান, একটি স্টুডিও এবং একটি হোটেলের পেছনের অংশসহ চারটি দোকান পুরোপুরি পুড়ে গেছে। আগুনে দোকানগুলোর কাঠামো, মালামাল, আসবাবপত্র সবকিছুই ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে পুড়ে যাওয়া দোকান মালিকরা জানিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, দোকানগুলোতে থাকা পণ্য ও মালামালসহ সবকিছু পুড়ে যাওয়ায় তাদের ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
পাকুন্দিয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক অপু বলেন, এখানে বেশ কয়েকটি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, কোনো বিদ্যুৎজনিত ত্রুটি থেকেই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। আমার মামার টাইলসের দোকানও পুড়েছে। ঠিক কতটুকু ক্ষতি হয়েছে তা বলা না গেলেও আনুমানিক ১০-১৫ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হতে পারে।
ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো রাত ৮ টায় দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যাই। হঠাৎ খবর পাই দোকানে আগুন লাগছে, এসে দেখি অনেক চেষ্টা করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসছে না। ফায়ার সার্ভিস আসতে আসতে সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন প্রশাসন যদি আমাদেরকে সহযোগিতা করে তাহলে আমার ঘুরে দাঁড়াতে পারবো।
স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা কাজল মিয়া বলেন, রাতের আঁধারে আগুন লাগার কারণে প্রথমে কেউ বিষয়টি বুঝতে পারেনি। তবে ধোঁয়া ও আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকলে সবাই ছুটে এসে পানি ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। তবে আগুনে কেউ হতাহত না হলেও অর্থনৈতিক ক্ষতির বোঝা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হবে ব্যবসায়ীদের।
পাকুন্দিয়া ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার সারোয়ার হোসেন বলেন, রাত আনুমানিক সাড়ে ১০ টার দিকে আমরা খবর পাই পৌরসভার ডিগ্রি কলেজগেট এলাকায় আগুন লেগেছে। তাৎক্ষণিক আমরা একটি ইউনিট নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে এখনো বলা যাচ্ছে না তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। আর পুড়ে যাওয়া দোকান মালিকরা দাবি করেছেন প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির হয়েছে।



