তিনদফা দাবি আদায়ে কুড়িগ্রামে প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:১২ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি আদায় ও শাহবাগে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রোববার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন সহকারী শিক্ষকরা। তারই ধারাবাহিকতায় আজ ১০ নভেম্বরেও কুড়িগ্রামের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা কর্মবিতরি পালন করছে। শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলেও শান্তিপূর্ণভাবে পালন করছে কর্মবিতরি। যার ফলে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকলেও হচ্ছে না পাঠদান।
সরেজমিনে কুড়িগ্রামের একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। শিক্ষকরা বলছেন, তাদের নায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাসে ফিরবেনা। এদিকে অভিবাকরা বলছেন দ্রুত ও সমস্যার সমাধান না হলে তাদের সন্তানদের লেখাপড়া বড় ধরনের ক্ষতির কথা। প্রাথমিক শিক্ষকদের ৩ টি দাবি হলো: সহকারী শিক্ষক পদটিকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা, শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি এবং চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড দেওয়া।
হরিশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শানু বেগম বলেন,‘ আমরা আমাদের নায্য দাবি আদায়ের জন্য কর্মবিরতি পালন করছি। সরকার এ দাবি মেনে নিলে আমরা আবার ক্লাসে ফিরে যাবো। আমরাও চাই না এ আন্দোলন দীর্ঘায়িত করতে। কারণ সামনে আমাদের বাচ্চাদের পরীক্ষা। আরেক শিক্ষক সেকেন্দার আলী বলেন, ‘ আমরা তো সরকারের কাছে অনায্য কোনো দাবি করছি না। আমরা সহকারী শিক্ষকরা দীর্ঘদিন থেকে বঞ্চনার শিকার আমরা আমাদের নায্য অধিকারটুকু চাই।’
পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী লাবিব বলেন,‘ আমি স্কুলে আসছি কিন্তু ক্লাস হচ্ছেনা। স্যারের রা আসছেন কিন্তু তারা ক্লাস নিচ্ছে না। সামনের মাসে আমাদের পরীক্ষা এখনও অনেক পড়া বাকি।’
জানতে চাইলে অভিভাবক নুরি বেগম বলেন, ‘ গত কয়েকদিন ধরে বাচ্চাদের ক্লাস হচ্ছে না। তারা পড়াশুনাটাও ঠিকমত করতে পারছে না। সামনে ডিসেম্বর মাস এ মাসেই বার্ষিক পরীক্ষা। কী হবে কে জানে।’
কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার রায় চৌধুরী বলেন,‘ আমরাসহ আমাদের উদ্ধতন কতৃপক্ষ শিক্ষকদের কর্মবিরতি সম্পর্কে অবগত আছেন। আমরা উদ্ধতন কতৃপক্ষকে বিষয়গুলো জানাচ্ছি।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘ এই সময় যদি বাচ্চাদের ক্লাস না নেয়া হয় তাহলে অবশ্যই তাদের পড়াশোনার ক্ষতি হবে।’
উল্লেখ্য কুড়িগ্রাম জেলায় মোট ১ হাজার ২৪০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। যার মধ্যে একাধিক বিদ্যালয়ে রয়েছে প্রধান শিক্ষক ও প্রাথমিক শিক্ষক সংকট।



