নরসিংদীতে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দু’পক্ষের টেঁটাযুদ্ধ
নরসিংদী প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৫২ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
নরসিংদীতে খেয়া পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার জেরে ফের বিবাদমান দুই পক্ষের সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে সদর উপজেলার মাধবদী থানার চরাঞ্চল চরদীঘলদী ইউনিয়নের জিতরামপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সকালে মাইকে ঘোষণার পর দুই দফায় এ সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এর আগে গত সোমবার (৩ নভেম্বর) ও মঙ্গলবার (০৪ নভেম্বর) দুইপক্ষের ২ দফা সংঘর্ষের পর হতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল বলে জানান মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নজরুল ইসলাম। শনিবার (০৮ নভেম্বর) ভোরে পুলিশ না থাকার ফাঁকে দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ পৌঁছার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান ওসি।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। তারা হলেন, জিতরামপুর গ্রামের মিন্টু মিয়ার ছেলে দুলাল (৫০) ও রুবেল মিয়া, বাদল মিয়ার ছেলে খায়রুল (৩৭), মৃত শুক্কুর আলীর ছেলে খালেক মিয়া (৬০), ও খালেক মিয়ার ছেলে জাকির (৩০) ও মাইনউদ্দিনের ছেলে জাকির (৪৮)। এদের মধ্যে খায়রুল (৩৭) কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে এবং বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, চরদীঘলদী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড জিতরামপুরে খেয়াঘাটে ভাড়ার অতিরিক্ত টাকা আদায় ও আধিপত্য বিস্তার করা নিয়ে স্থানীয় শহিদ মিয়া মেম্বার ও চাঁন মিয়া গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত সোম ও মঙ্গলবার দুই পক্ষের সংঘর্ষে আট জন আহত হবার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়। শনিবার সকালে পুলিশ না থাকার সুযোগে জিরতরামপুরে উত্তর পাড়া মাদ্রাসার মাইকে ঘোষণা দিয়ে ফের টেঁটা ও দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষের লোকজন। এতে টেঁটাবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়। আহতরা পুলিশী গ্রেপ্তার এড়াতে বিভিন্ন হাসপাতালে গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে সূত্রে জানা গেছে।
আহত খালেকের নাতী শাহের আলী বলেন, ভোরে শহিদ মেম্বারের লোকজন মাইকে ঘোষণা দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। এসময় তাদের টেটাঁর আঘাতে আমার দাদাসহ অনেকে আহত হয়েছে। কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে তারা ভাংচুর করেছে। আহতদের বেশিরভাগই গ্রাম্য ডাক্তারের চিকিসা নিয়েছে। বর্তমানে পুলিশ থাকায় এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে।
এব্যাপারে শহিদ মিয়া মেম্বার ও চাঁন মিয়ার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাদের বব্যবহ্নত ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ভোরে শহিদ মেম্বারের লোকজন চাঁন মিয়ার লোকদের উপর হামলা করলে সংঘর্ষে বেধেঁ যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আমরা তিনজন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি।। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে দ্রুতই অভিযান পরিচালনা করা হবে। তবে মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষের ব্যাপারে তিনি অবগত নন বলে জানান।



