বগুড়ার কাহালুতে পারিবারিক বিরোধের জেরে সৎ ছেলের হাসুয়ার আঘাতে মিলন ওরফে টাইগার মিলন (৩০) নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলা পশু হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাতে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নিহত টাইগার মিলন উপজেলার পালপাড়া এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে। প্রায় ৮–৯ বছর আগে তিনি জামতলা গ্রামের চার সন্তানের জননী মেঘনা বেগমকে (৩৫) বিয়ে করে পশু হাসপাতালের পাশে একটি পরিত্যক্ত ভবনে বসবাস শুরু করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মেঘনার প্রথম স্বামী নাজুর ছেলে শামীম হোসেন (২২) কোনোভাবেই তার সৎ বাবা মিলনকে মেনে নিতে পারেননি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ লেগে ছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে পারিবারিক কলহের একপর্যায়ে শামীম এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। গুরুতর আহত অবস্থায় মিলনকে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মিলনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে কাহালু থানা পুলিশ মেঘনা বেগম এবং তার ছেলে শামীম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিতাই চন্দ্র সরকার বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। নিহতের মরদেহ শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।



