নবীনগরে আধিপত্যের দ্বন্দ্বে গুলিতে নিহত ১, আহত ৩
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০৫ পিএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে দুই দফা পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ চারজনের মধ্যে একজন নিহত হয়েছেন এবং তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতদের সবাইকে রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়।
নিহত ব্যক্তির নাম শিপন মিয়া (৩০)। তিনি স্থানীয় মোন্নাফ মিয়া ওরফে মনেক ডাকাতের ছেলে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরও করেছে বলে জানা গেছে। এতে এলাকায় নতুন করে সংঘাতের আশঙ্কায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে বড়িকান্দি ইউনিয়নের গণি শাহ মাজার বাজার এলাকায় একটি হোটেলে আড্ডা দিচ্ছিলেন শিপন মিয়া। ওই সময় একদল অস্ত্রধারী লোক হঠাৎ হোটেলে গুলি চালায়। এতে শিপন মিয়া, হোটেলকর্মী ইয়াছিন (২০) ও নূর আলম (১৮) গুলিবিদ্ধ হন।
শিপনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে তার গ্রাম নূরজাহানপুরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে মনেকের নেতৃত্বে সশস্ত্র লোকজন প্রতিপক্ষের নেতা এমরান হোসেন মাস্টারের অফিসে হামলা চালায়। এ সময় গুলিতে এমরান হোসেন (৩৮) আহত হন। তিনি ঢাকায় কর্মরত ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) বিল্লাল হোসেনের ছোট ভাই এবং স্থানীয় শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক।
এরপর বিক্ষুব্ধ লোকজন এমরান মাস্টারের গ্রাম থোল্লাকান্দিতে হামলা চালিয়ে কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করে। গুলিবিদ্ধ চারজনকেই রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়, যেখানে সকালে মনেক ডাকাতের ছেলে শিপনের মৃত্যু হয়। হোটেলকর্মী ইয়াছিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য নিয়ে মোন্নাফ মিয়া ও তাঁর ছেলে শিপনের সঙ্গে থোল্লাকান্দির আরাফাত ও তাঁর গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। এই বিরোধই শনিবারের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়।
ঘটনার খবর পেয়ে নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিয়াস বসাক ও নবীনগর থানার ওসি শাহীনূর ইসলাম ঘটনাস্থলে যান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিয়াস বসাক বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, কোনো ডাকাতির ভাগাভাগি নিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তদন্তাধীন।



