ধসে যাওয়া রাস্তার একাংশ
সড়ক নির্মাণের বছর না যেতেই দেখা দিয়েছে ধস। দ্রুত মেরামত না করলে বন্ধ হয়ে পড়বে যোগাযোগ ব্যবস্থা। “গ্রামীণ সড়ক” মেরামত ও সংরক্ষণ এর আওতায় ইউনি ব্লক সড়ক নির্মাণে নেয়া হয়েছিল অনিয়মের আশ্রয় অভিযোগ উঠেছে।
নির্মাণের পর থেকে সড়কে বিভিন্ন স্থানে ধস দেখা দেয়ায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে রাস্তাটি। রাস্তাটি পুকুর পাড়ে ভেঙ্গে পড়ছে। দ্রত মেরামত না করলে যে কোন যানবাহন নিয়ে চলাচল করতে পারবে না মানুষ। ।
জানা গেছে, “গ্রামীণ সড়ক” মেরামত ও সংরক্ষণ এর আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার থানাহাট জিসি-রাজারভিটা সড়ক পূনর্বাসনের জন্য ২হাজার ৭০ মিটার ইউনি ব্লকের এলজিডির টেন্ডারের মাধ্যমে হয়। কাজটি পায় মের্সাস নিবেদিতা ট্রেডার্স,উলিপুর। কাজের চুক্তি মুল্য ধরা হয় প্রায় ১ কোটি ৪৭ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ টাকা। উক্ত কাজে উন্নত মানের ইউনি ব্লক দেয়ার কথা থাকলে ভালো ব্লকের সাথে রাস্তায় ব্যবহার করা হয়েছে নিম্ন মানের ব্লক । অভিযোগ স্থানীয়দের।
এছাড়াও রাস্তায় ইউনি ব্লক বসানোর আগে সঠিকভাবে ফেলানো হয়নি বালি ও মাটি এবং নিয়ম মতাবেক করা হয়নি কম্পেকশন। উক্ত সড়কে একাধিক পুকুর থাকায় সড়ক ভেঙ্গে যেতে পারে এটির জন্য পরিকল্পনা মতাবেক নেয়া হয়নি কোন সিন্ধান্ত । ফলে একাধিক স্থানে ধস ছাড়াও সড়ক পুকুরের কাছে ভেঙ্গে পড়ছে।
নির্মানের বছর না ঘুরতে যে অবস্থা আক্ষেপ করে গাড়ি চালক আমিনুল বলেন, সড়ক নির্মানের আগেও যে অবস্থা এখনো একই অবস্থা, স্থানে স্থানে ভেঙ্গে যাওয়া এবং ভালো ভাবে ব্লক না বসানোর কারণে বর্তমানে যে কোন গাড়ী চালানোই মুশকিল।
স্থানীয় মানুষজন জানান, এর আগেও সড়কের কয়েকটি স্থানে ধস দেখা দিয়েছিল পরে লোকজন সেটি ঠিক করেছে। আবু আক্তার নামে এক শিক্ষক বলেন, খুবই দুঃখ জনক কারন এটি একটি গুরুত্বপূর্ন সড়ক। আর এটি দ্রত মেরামত করা না হলে এই সড়ক দিয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে পড়বে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. জুলফিকার আলী বলেন, উক্ত সড়কে একাধিক পুকুর থাকায় এবং বৃষ্টির কারণে এমনটি হয়েছে, দ্রত এর সমাধান করা হবে।



