কমলনগরে মহিলা মেম্বারের পতিতালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা, প্রতিবাদে মানববন্ধন
লক্ষ্মীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:১১ পিএম
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে জাহানারা বেগম প্রকাশ জাইন্না মেম্বারের পতিতালয় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৩৫ জনের নামে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় মুসল্লী ও সমাজবাসী।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) জুমআর নামাজের পর উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের মৌলভীরটেক এলাকায় এই কর্মসূচির পালন করেন স্থানীয়রা।
এর আগে গত ১৯ অক্টোবর রোববার রাত ৮ টার দিকে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৌলভীরটেক এলাকায় সাবেক মহিলা মেম্বার জাহানারা বেগম প্রকাশ জাইন্না মেম্বারের বাড়ীতে চলা পতিতালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। জাহানারা বেগম হাজিরহাট ইউনিয়নের ৭-৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য (মেম্বার) ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ওই এলাকায় জাহানারা বেগম প্রকাশ জাইন্নার বসতঘরে অনৈতিক কর্মকাণ্ড চলে আসছিল। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নারীদের এনে দেহ ব্যবসা করানো হয় তার বসতঘরে। স্থানীয় এলাকাবাসী একাধিকবার নিষেধ করার পরেও এসব অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ করেননি জাইন্না। এই ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা তার বসতঘরে গিয়ে ২ জন নারীকে অনৈতিক কর্মকান্ড অবস্থায় হাতেনাতে ধরে পেলে। আটক ওই ২ নারীর বাড়ী ফেনী জেলায়। তাদেরকে এনে দেহ ব্যবসা করাচ্ছেন জাইন্না। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা তার বসতঘর ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। বিক্ষুব্ধ জনতার গণধোলাইয় থেকে বাঁচতে তখন জাইন্না পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে কমলনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বৃহস্পতিবার ২৩ অক্টোবর জাইন্না বাদি হয়ে ওই এলাকার ২০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৩৫ জন সহ মোট ৫৫ জনের নামে লক্ষ্মীপুর ম্যাজেস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় মুসল্লী ও সমাজবাসী।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৬-১৭ বছর ধরে জাইন্না মেম্বারের বসতঘরে দেহ ব্যবসা চললেও প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এ অঞ্চলের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ জানে যে, জাইন্না রামগতি-কমলনগরের পতিতাদের সর্দার। এই জাইন্না এ অঞ্চলের ছাত্র ও যুব সমাজের চরিত্র ধ্বংস করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরব ভূমিকাকে দায়ী করে তারা বলেন, সমাজবাসী তার অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাই তাদের নামে মামলা দেওয়া হয়। আমরা এই মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কমলনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর ধরে জাইন্না মেম্বারের বসতবাড়িতে যৌন ব্যবসা হচ্ছে-এমন অভিযোগে বিক্ষুব্ধ জনতা তার বসতঘর ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। মামলার কপি এখনো থানায় আসেনি। কপি হাতে পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



