Logo
Logo
×

সারাদেশ

ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সহায়তা চায় বিজিএমইএ

Icon

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৪৫ পিএম

ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সহায়তা চায় বিজিএমইএ

ছবি-সংগৃহীত

 সংগঠনটির মতে, এ ঘটনায় দেশের রফতানি বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বিদেশি ক্রেতাদের আস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের কাছে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সহযোগিতা চেয়েছে বিজিএমইএ।

রবিবার (১৯ অক্টোবর) বিজিএমইএ’র সিনিয়র সহ-সভাপতি ইনামুল হক খানের নেতৃত্বে সংগঠনের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ পরিদর্শন করে। বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন সহ-সভাপতি (অর্থ) মিজানুর রহমান, পরিচালক ফয়সাল সামাদ, মজুমদার আরিফুর রহমান, কাজী মিজানুর রহমান, রুমানা রশীদ, মোহাম্মদ সোহেল, সাবেক পরিচালক নজরুল ইসলাম, জনসংযোগ ও প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদ কবির এবং এয়ারপোর্ট সেলের চেয়ারম্যান মো. নিশের খান প্রমুখ

সময় তারা বেসামরিক বিমান পরিবহনপর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে সাক্ষাকরেন এবং পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাদের উদ্বেগ তুলে ধরে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা চান

সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন পোশাক খাতের আমদানি করা কাঁচামাল দ্রুত খালাসের নির্দেশ দেনতিনি জানান, আপাতত এসব কাঁচামাল কার্গো ভিলেজেরনম্বর ভবনে রাখা হবে এবং ৭২ ঘণ্টার পরিবর্তে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে খালাসের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

পরিদর্শন শেষে ৮ নম্বর গেটের সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ইনামুল হক খান। তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডে বহু মূল্যবান কাঁচামাল, এক্সেসরিজ এবং স্যাম্পল (নমুনা) পণ্য সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। এসব স্যাম্পল হারানোর অর্থ ভবিষ্যতের অনেক রফতানি চুক্তি ঝুঁকির মুখে পড়া।

তিনি জানান, বিজিএমইএ ইতোমধ্যে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ শুরু করেছে। সদস্য কারখানাগুলোর কাছ থেকে নির্ধারিত ফরম্যাটে ক্ষতির তালিকা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে এবং দ্রুত তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি অনলাইন ডেটা কালেকশন পোর্টাল চালু করা হয়েছে। সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সঙ্গে একটি সমন্বয় সভা করবে বিজিএমইএ।

বিজিএমইএ পোশাক খাতের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকারের কাছে চার দফা দাবি জানিয়েছে। সেগুলো হলো অগ্নিকাণ্ডটি দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা, তা দ্রুত ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা; ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের জন্য যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও সহায়তা দেওয়া; বন্দরের বর্তমান পরিস্থিতি নির্বিশেষে অন্যান্য শিপমেন্ট কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত করা এবং বিমানবন্দরের স্পর্শকাতর এলাকায় রফতানি পণ্যের নিরাপত্তা জোরদার করা, যাতে বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যে আস্থা পুনঃস্থাপন হয়।

সংগঠনটি সদস্য কারখানাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে, বিমানবন্দরে আমদানি করা পোশাক শিল্পের কাঁচামাল ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে খালাস সম্পন্ন করতে।

বিজিএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সচিব মেজর (অব.) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, এই পরিস্থিতিতে শিল্পের ক্ষতি কমিয়ে আনতে আমরা সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। বিজিএমইএ আশা করে, দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিলে পোশাক খাতের রফতানি প্রবাহ আবারও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে।

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন