Logo
Logo
×

সারাদেশ

ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ড নিয়ে দুই শিক্ষকের মারামারি, বিদ্যালয়ে এলো পুলিশ

Icon

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১১:১৬ এএম

ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ড নিয়ে দুই শিক্ষকের মারামারি, বিদ্যালয়ে এলো পুলিশ

ছবি : সংগৃহীত

বগুড়ার শেরপুরে পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে  ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ড না দেওয়ায় দুই শিক্ষকের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (১২ অক্টোবর) দুপুর একটার দিকে শেরপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর পরিস্থিতি শান্ত করতে বিদ্যালয়ে পুলিশ ডাকা হয়। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ সাহেব আলী ও ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর মাহমুদুল হাসানের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ড না দেওয়ায় প্রথমে মাহমুদুলকে মারধর করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। পরে মাহমুদুলের পক্ষে বহিরাগত কয়েকজন বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষক সাহেব আলীকে মারধর করেন। এতে আহত হয়ে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

এছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামনে মারামারির ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাদের অনেকে শ্রেণিকক্ষে ক্লাস না করে বাড়িতে চলে যায়। বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোজাফফর আলী বলেন, ওই দুই শিক্ষকের মধ্যে এবং বহিরাগত কয়েকজন এসে বিদ্যালয় চত্বরে মারামারি করেন। এতে দুজন শিক্ষক আহত হয়েছেন।হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সহকারী শিক্ষক সাহেব আলী জানান, বিদ্যালয়ের ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ড পরিবর্তন হয়েছে।

প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে তিনি বিদ্যালয়ের ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর মাহমুদুল হাসানের কাছে ওই পাসওয়ার্ড চান। কিন্তু তিনি পাসওয়ার্ড না দিয়ে তাঁর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। একপর্যায়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তাঁকে মারধর করেন। পরে পৌর শহরের টাউন কলোনি মহল্লা থেকে মাহমুদুল তাঁর নিকটাত্মীয়দের ডেকে এনে দোতলায় শ্রেণিকক্ষের সামনে আবার মারধর করেন। অভিযোগের বিষয়ে মাহমুদুল হাসান জানান, প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে বিদ্যালয়ের ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ড তিনি বসিয়ে থাকেন। প্রধান শিক্ষকের অনুমতি ছাড়া তিনি পাসওয়ার্ড দিতে রাজি না হওয়ায় সহকারী শিক্ষক সাহেব আলী তাঁর ওপর চড়াও হন এবং মারধর করেন।

তিনি বলেন, তাঁকে মারধর করায় তাঁর আরেক ভাই বিদ্যালয়ে এসেছিলেন। বহিরাগত বলে যা বলা হচ্ছে, সেটা সঠিক নয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সাঈদ শেখ জানান, এ ঘটনার পর বিদ্যালয় চত্বরে পুলিশ আসার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনাটি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে জানানো হয়েছে।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দীন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পর বিদ্যালয় থেকে পুলিশ থানায় ফিরেছে। মারধরের ঘটনা নিয়ে কোনো পক্ষেই অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন