নওগাঁয় হঠাৎ ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে চারপাশ। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) ভোর থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত শহর ও আশপাশের এলাকা ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন ছিল। রাস্তাঘাট, মাঠ ও গাছপালায় নেমে আসে সাদা কুয়াশার পরত, ফলে সকালে রাস্তায় মানুষের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলকভাবে কম।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ভোর থেকে নওগাঁ শহরসহ আশপাশের এলাকায় দৃশ্যমানতা ছিল কম। যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরে ধীরে চলছিল। শহরের বাসস্ট্যান্ড, বাইপাস সড়ক ও বাজার এলাকাজুড়ে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত কুয়াশার ধোঁয়াটে আবরণ ছিল। মাঠের ফসল, গাছের পাতা ও ঘাসের ডগায় জমে শিশিরবিন্দু।

শহরের বাইরে রাণীনগর, পত্নীতলা, ধামইরহাট ও মহাদেবপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কুয়াশার ঘনত্ব ছিল আরও বেশি। সকাল ৯টার পরও অনেক স্থানে সূর্যের দেখা মেলেনি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, চলতি মৌসুমে আজকের মতো ঘন কুয়াশা আগে দেখা যায়নি। অনেকে মনে করছেন, এই কুয়াশাই শীতের আগমনী বার্তা।

রাণীনগরের কৃষক মজিবর রহমান বলেন, “বেশ কিছুদিন ধরে গরমে কষ্ট হচ্ছিল। আজ ভোরে দেখি পুরো মাঠ কুয়াশায় ঢাকা—মনে হচ্ছে শীত এসে গেছে।”

ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, “রাস্তায় কুয়াশায় কিছু দেখা যাচ্ছিল না, কিন্তু ঠান্ডা হাওয়া লাগায় মনটা ভালো হয়ে গেছে।”

বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, মৌসুমি বায়ুর প্রভাব কমে আসায় তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমছে। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুল হক বলেন, “কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা কমছে। কুয়াশা পড়া মানেই শীতের আগমনী বার্তা। এটি মৌসুমি পরিবর্তনের স্বাভাবিক লক্ষণ।”