ইসলামী ব্যাংকে ‘অবৈধ নিয়োগ’ বাতিলের দাবিতে বাঞ্ছারামপুরে মানববন্ধন
বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:২৭ পিএম
ছবি : যুগেরচিন্তা
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-সহ ব্যাংকিং সেক্টরে অবৈধ ও একচেটিয়া নিয়োগ বাতিল করে মেধাভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে মানববন্ধন করেছে বৈষম্যবিরোধী চাকরি প্রত্যাশী পরিষদ।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে সারা দেশ থেকে মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী নিয়োগের আহ্বান জানান।
চাকরিপ্রত্যাশী ফজলে রাব্বি ফাহাদ বলেন, এস আলম ইসলামী ব্যাংক দখলের পর ২০১৭ থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন পদে শুধু চট্টগ্রামের ৭ হাজার ২২৪ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছেন, যার মধ্যে ৪ হাজার ৫০০ জনের বেশি পটিয়া উপজেলার। দেশের ৬৩ জেলার প্রার্থীদের বঞ্চিত রেখে এক জেলার প্রার্থীদের প্রাধান্য দেওয়ায় ব্যাংকের সেবার মান ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে বলে তারা মন্তব্য করেন।
হেলাল উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘এসব নিয়োগপ্রাপ্তদের অধিকাংশই গ্রাহকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন, পেশাদার সেবা দিতে অক্ষম, এমনকি আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলায় গ্রাহকরা যোগাযোগে সমস্যায় পড়েন। এভাবে ব্যাংক চালানো সম্ভব নয়।
ব্যাংকের গ্রাহক শামীম নূর ইসলাম বলেন, ‘২০১৭ সালে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে এস আলম গ্রুপ ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর থেকে চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দিয়ে ব্যাপক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এতে বৈষম্য তৈরি হয়েছে। বাঞ্ছারামপুর থেকে হাতে গোনা কয়েকজনই নিয়োগ পেয়েছেন।’
স্থানীয় গ্রাহক দেলোয়ার হোসেন তালুকদার জানান, ২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এস আলম কর্তৃক প্রদত্ত সব অবৈধ নিয়োগ বাতিল করতে হবে। দেশের সব অঞ্চল থেকে মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে দক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিতে হবে। একইসঙ্গে এস আলম কর্তৃক পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা ও তাদের দায়-দেনা সমন্বয়ে সরকার কর্তৃক জব্দকৃত সম্পদ ব্যবহারের পদক্ষেপ নিতে হবে।’
বক্তারা আরও জানান, ব্যাংক লুটেরা এস আলম ও তার নিয়োগপ্রাপ্ত অযোগ্য কর্মকর্তাদের অপসারণ না করা হলে গ্রাহকরা একে একে ইসলামী ব্যাংক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। অবিলম্বে এসব অবৈধ নিয়োগ বাতিল করে সারা দেশ থেকে মেধাভিত্তিক নিয়োগ নিশ্চিত করার দাবি জানান।



