বিপৎসীমার নিচে তিস্তার পানি, নদীভাঙনের আতঙ্কে তিস্তাপাড়ের মানুষ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৫৬ এএম
ছবি : সংগৃহীত
উজানের পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের টানা ভারী বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে নীলফামারীর নদীপাড়ের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। একদিন পর সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল থেকে পানি নামতে শুরু করলেও কমেনি দুর্ভোগ, বরং নতুন করে নদীভাঙনের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা।
সকাল ৯টায় তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২.১২ মিটার, যা বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচে। অথচ গতকাল রাত ১১টায় এই প্রবাহ ছিল ৫২.৫০ মিটার, অর্থাৎ বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপরে। পানি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রাখা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ভারত থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা বৃষ্টিতে তিস্তার পানি হঠাৎ বেড়ে যায়। এতে চরাঞ্চল ও নদীর বাম তীরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে হাজারো পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। কৃষকের ফসল ডুবে যায়, পুকুরের মাছ ভেসে যায়। পানি কমতে শুরু করলেও নদীভাঙনের আশঙ্কা বাড়ছে।
ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, খালিসা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী ও গয়াবাড়ী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানি নামতে শুরু করলেও নদীর পাড়ে ভাঙনের ভয় তাড়া করছে স্থানীয়দের।
পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন বলেন, “গতকাল হঠাৎ পানি বাড়ায় ঘরবাড়ি ডুবে যায়। আজ সকালে পানি নামতে শুরু করেছে, কিন্তু পানি নামলেই ভাঙন বাড়ে।”
আরেক বাসিন্দা জাকারিয়া বলেন, “তিস্তার পানি কমতে শুরু করলে নদীভাঙন দেখা দেয়। গতকাল রাতে পানি ঢুকেছিল, আজকে নামছে, কিন্তু আতঙ্ক রয়েই গেছে।”
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম জানান, রোববার সন্ধ্যা থেকে পানি বাড়তে শুরু করে, রাত ১১টায় বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। সোমবার সকালে তা বিপৎসীমার নিচে নেমে এসেছে।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, “পানি বাড়ার সম্ভাবনা নেই, নিম্নাঞ্চলের পানি নামতে শুরু করেছে। তবে পানি নামার ফলে নদীভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে।”



