ছবি-সংগৃহীত
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা নদীর দুর্গম চরাঞ্চল আলবিদিতর ও নোহালি এলাকায় প্রচণ্ড টর্নেডোর আঘাতে ৫ শতাধিক বাড়িঘর ভেঙে গেছে। উপড়ে গেছে অনেক গাছপালা। ঘর ও গাছ চাপা পড়ে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে পাঁচ জনকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকাল ১০টার দিকে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান মৃধা জানান, টর্নেডোর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ইতোমধ্যেই শুকনো খাবার বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িঘর সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, নোহালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ আলী জানান, তার ইউনিয়নে আনুমানিক ৩শ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
আলমবিদিতর ইউনিয়নের প্রশাসক ও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আফতাবুজ্জামান চয়ন জানান, তাদের ইউনিয়নে আনুমানিক ২শ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আধাপাকা ও কাঁচা ঘরবাড়ি বিধস্ত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানান, সকাল ১০টার দিকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। এরই মধ্যে আকস্মিকভাবে টর্নেডো আঘাত হানে। মাত্র ৫ মিনিটের টর্নেডোর আঘাতে বাড়িঘর লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এতে ৫শর বেশি আধা পাকা ও কাঁচা ঘরবাড়ি বিধস্ত হয়।
টর্নেডোর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত আলমবিদিতর ইউনিয়নের হাজীরহাটের বাসিন্দা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ে আমার ২টা পাকা ঘর ভেঙে গেছে। ঘরের টিন উড়ে গেছে। আমার শিশুসন্তান শান্তর মাথা ফেটেছে ও পা ভেঙেছে। তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছি।’
অপরদিকে, সরদারপাড়ার পারভিন বেগম জানান, তার স্বামী নেই। দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে বসবাস করেন। ঝড়ে তার দুটি ঘর পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে।



