ছবি-সংগৃহীত
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব বিজয়া দশমীর দিনে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা শেষে দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হলো। রাজধানীসহ বিভিন্ন নদী ও পুকুরে দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব।
বৃহস্পতিবার (০২ অক্টোবর) ভোর থেকেই মণ্ডপগুলোতে ভক্তদের সমাগম লক্ষ্য করা গেছে। তারা দেবীর পায়ে অঞ্জলি অর্পণ করে বিজয়ার জন্য প্রার্থনা করেন। এরপর শোভাযাত্রার মাধ্যমে প্রতিমা বিসর্জন স্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাক-ঢোল, উলুধ্বনি ও শঙ্খধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠেছে পুরো পরিবেশ।
ধানমন্ডি থানার পূজা উদযাপন কমিটির সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ রায় জানান, আমরা ভারাক্রান্ত হৃদয়ে মাকে বিদায় জানাতে এসেছি। মা আমাদের ধরাধামে এসেছিলেন আমাদের মঙ্গলের জন্য, অসুর বধ করার জন্য। আমরা মায়ের কাছে প্রার্থনা করেছি, যাতে অশুভ শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে। আগামীতে দেশ যেন সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয় এবং সব মানুষের মঙ্গল হয়, এটাই মায়ের কাছে প্রার্থনা ছিল।
এবার রাজধানীর ১০টি ঘাটে দুর্গাপূজার ২৫৪টি মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। নির্বিঘ্নভাবে এই কার্যক্রম সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছিল। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দায়িত্বে ছিলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির ৭ হাজার সদস্য। পাশাপাশি নৌ-দুর্ঘটনা এড়াতে টহল দিয়েছে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড।
এইবার রাজধানীর মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন করা হয়েছে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা ও তুরাগ নদীর ১০টি ঘাটে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রতিমা বিসর্জন হবে বিনাস্মৃতি স্নান, ওয়াইস ও নবাববাড়ি ঘাটে। এ ছাড়া লালকুটি, মিলব্যারাক, পোস্তগোলা শ্মশান, বসিলা ব্রিজ, আমিনবাজার ও আশুলিয়ার ধউরে বিআইডব্লিউটিসি ফেরিঘাটেও বিসর্জন অনুষ্ঠিত হয়।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী, মানুষের মন থেকে আসুরিক প্রবৃত্তি যেমন কাম, ক্রোধ, হিংসা ও লালসা দূর করাই বিজয়া দশমীর প্রধান তাৎপর্য। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানুষ একে অপরের সঙ্গে ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে তুলে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য সাধন করে।



