মেডিকেলে সেই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের আলামত মেলেনি
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৪৪ এএম
খাগড়াছড়িতে অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে অচেতন করে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার মেডিকেল পরীক্ষায় কোনো ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের নেতৃত্বে থাকা সিনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ডা. জয়া চাকমা জানিয়েছেন, ভুক্তভোগীর শরীরের ভেতরে ও বাইরে ধর্ষণের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রতিবেদনে আরও স্বাক্ষর করেছেন ডা. মীর মোশারফ হোসেন ও ডা. নাহিদা আক্তার। সিভিল সার্জন ডা. ছাবের আহমেদ জানান, প্রতিবেদনটি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় ওই শিক্ষার্থীকে অচেতন করে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে মামলা করেন। পরদিন পুলিশ সন্দেহভাজন শয়ন শীলকে (১৯) গ্রেপ্তার করে।
এদিকে সেনা রিজিয়ন কমান্ডাররা অভিযোগ করেছেন, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউপিডিএফ পাহাড়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। খাগড়াছড়ি সেনানিবাসে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ বলেন, ধর্ষণ মামলাকে পুঁজি করে ইউপিডিএফ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উসকে দিতে চাইছে, যা বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ। গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কালাম রানা জানান, পাহাড়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসী কার্যকলাপের পেছনে ইউপিডিএফ দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ঘটনার পর জুম্ম ছাত্র-জনতা অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক অবরোধ ঘোষণা করে। তবে দুর্গাপূজা ও প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
এরই মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাতে তিনজন নিহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ স্থানীয়রা আহত হয়েছেন। সহিংসতায় সরকারি অফিস, দোকানপাট, বসতঘর, গুদাম ও মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে খাগড়াছড়ি জেলায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।



