আবারও ১৪ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি
কক্সবাজার প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৫ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
কক্সবাজারের টেকনাফে সেন্টমার্টিনের অদূরবর্তী বঙ্গোপসাগর মাছ ধরার সময় বাংলাদেশি দুইটি ট্রলারসহ ১৪ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ট্রলার মালিকদের অভিযোগ, এই অপহরণের সঙ্গে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সদস্যরা জড়িত।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে সেন্টমার্টিনের অদূরে দুটি ট্রলারসহ আরও ১৪ জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ পৌর ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ।
তবে ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেদের নাম ও পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাদের মধ্যে বাংলাদেশিদের পাশাপাশি রোহিঙ্গা নাগরিক রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ধরে নিয়ে একটি ট্রলারের মালিক টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যং পাড়ার বাসিন্দা ছৈয়দ আলম এবং অপর ট্রলারের মালিক টেকনাফ পৌর ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম। আর ট্রলার দুইটিতে ৭ জন করে ১৪ জন জেলে ছিল।
ট্রলার মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের বরাতে সাজেদ আহমেদ বলেন, সোমবার দুপুরে টেকনাফের কায়ুকখালী ঘাট থেকে বেশ কিছু ট্রলার নিয়ে জেলেরা সাগরে মাছ শিকারে বের হয়েছিল। এসব ট্রলার সেন্টমার্টিনের অদূরবর্তী সাগরে মাছ ধরছিল।
মঙ্গলবার সকালে স্পিডবোট যোগে এসে আরাকান আর্মির সদস্যরা অস্ত্রের মুখে জেলেদের জিন্মি করে। পরে দুইটি ট্রলারসহ বাংলাদেশি ১৪ জেলেকে ধরে নিয়ে যায়।
ট্রলার মালিক সমিতির এ নেতা বলেন, ঘটনাটি শোনার পর বিজিবিসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের মৌখিকভাবে অবহিত করেছেন। প্রতিনিয়ত এ ধরনের ঘটনায় মাছ ব্যবসায়ীসহ জেলেদের মাঝে ভয়ভীতির সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনার ব্যাপারে কথা বলতে বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের সংশ্লিষ্টদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোন ধরণের সাড়া দেননি।
তবে এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘আরও দুটি ট্রলারসহ ১৪ জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর স্থানীয়দের মাধ্যমে শুনেছেন। ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নিতে বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হয়েছে।’
বিজিবির দেওয়া তথ্য মতে, গত আট মাসে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নাফ নদী ও তৎসংলগ্ন সাগর এলাকা থেকে অন্তত ৩০০ জেলেকে ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। এর মধ্যে চলতি বছরের মার্চ থেকে ২৩ আগস্ট মাস পর্যন্ত অপহৃত হন ২০০ জন। এদের মধ্যে বিজিবির সহায়তায় ২০০ জনকে কয়েক দফায় ফেরত আনা হয়। এখনো আরাকান আর্মি কাছে জিন্মি রয়েছে বাংলাদেশি শতাধিক জেলে।



