ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের সিকদার হাট গ্রামে ঘর থেকে মা–মেয়ের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা জানা যায়। নিহতরা হলেন ওই গ্রামের জগদীশ রায়ের স্ত্রী সুমনা রানী (৪২) ও তার বাক্‌প্রতিবন্ধী ও মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে শাপলা রানী (১৮)।

স্থানীয়রা জানান, জীবিকা নির্বাহের জন্য সুমনা রানী ঝাড়ফুঁক ও কবিরাজি চিকিৎসা করতেন। কয়েক বছর আগে তাঁর স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র বসবাস শুরু করেন। সোমবার সকালে একটি এনজিওর কর্মী ঋণের টাকা নিতে এ বাড়িতে যান। কাউকে না পেয়ে ফিরে আসেন। সন্ধ্যায় আবার গেলে ঘরের ভেতর থেকে কোনো সাড়া না মেলায় উঁকি দেন। তখন তীব্র দুর্গন্ধ টের পেয়ে এলাকাবাসীকে খবর দেন তিনি।

ইউপি সদস্য হোসেন আলী বলেন, ঘরে ঢুকতে পারছিলাম না। দরজা বন্ধ ছিল। পরে পুলিশ এসে পেছনের টিন কেটে ভেতরে উঁকি দিলে মা–মেয়ের মরদেহ দেখতে পাই। চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর ধারণা, বাড়ি রক্ষার জন্য দরজায় বিদ্যুতের তার লাগিয়ে রাখতেন সুমনা রানী। রাতে ঘুমানোর আগে সুইচ বন্ধ করতে ভুলে যাওয়ায় মা–মেয়ের মৃত্যু ঘটে থাকতে পারে। পরে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা পরীক্ষা করে নিশ্চিত করেন, দরজার লোহার নেটে তখনো বিদ্যুৎ প্রবাহিত ছিল।

ভূল্লী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, ঘরের দরজার নেটে বিদ্যুতের সংযোগ ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, বিদ্যুতায়িত হয়ে দুই-তিন দিন আগে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে পরিত্যক্ত বাড়ির ভেতরে থাকা তিনটি ছাগলও অনাহারে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।