খাগড়াছড়িতে টানা তৃতীয় দিনের মতো চলছে সড়ক অবরোধ। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) গুইমারা উপজেলায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে তিনজন পাহাড়ি নিহত এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ পাহাড়ি-বাঙালি উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনায় পুরো জেলায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

নিহতদের মরদেহ গতকাল বিকেলে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে আনা হয়। তাদের পরিচয় নিশ্চিতের চেষ্টা চলছে এবং সোমবার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হতে পারে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিপল বাপ্পি চাকমা।

২৩ সেপ্টেম্বর রাতে এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার পর থেকে পাহাড়ি ও বাঙালি সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। হামলা-পাল্টা হামলায় বেশ কয়েকটি দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের শিকার হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা ও গুইমারা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে এবং তা এখনো বহাল রয়েছে।

সড়ক অবরোধের কারণে জেলার বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। শহর ও শহরতলীর সড়কগুলো ফাঁকা, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। লংগদু, বাঘাইছড়িসহ বিভিন্ন বাজারে কাঁচামালবাহী ট্রাক ও পিকআপ আটকে থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।

সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ যৌথভাবে টহল জোরদার করেছে। ধর্ষণ মামলায় একজন সন্দেহভাজনকে আটক করা হলেও আরও দুইজন এখনও পলাতক। জুম্ম ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ চলবে।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং ১৪৪ ধারা এখনো বলবৎ রয়েছে।