রেললাইনের পাশ থেকে কিশোরের লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা
নরসিংদী প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৫৫ পিএম
নরসিংদীর রায়পুরায় শ্রীনিধি রেল স্টেশনের অদূরে চান্দেরকান্দি এলাকার রেললাইনের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাতনামা কিশোরের পরিচয় পাওয়া গেছে। পরিবারের দাবি তাকে হত্যার পর রেললাইনের পাশে ফেলে রাখা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া ওই কিশোরের নাম শুভ আহমেদ (১৪)। সে রায়পুরা উপজেলার উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের সওদাগর বাড়ির আল-আমিনের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার শ্রীনিধি রেল স্টেশনের অদূরে চান্দেরকান্দি এলাকার রেললাইনে এক কিশোরের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে নরসিংদী রেলওয়ে ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুপুরের দিকে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের চাচা জিল্লুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ২২ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে অলিপুরা ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরনগর গ্রামের তুহিন ও হারুন নামে দুইজন লোক চুরির অপবাদ দিয়ে শুভকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে আমরা তাদের সাথে যোগাযোগ করলেও তারা শুভকে ছাড়েনি। পরদিন ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ছবি দেখে হত্যার ঘটনাটি জানতে পারি।
জিল্লুর রহমান আরো বলেন, শুভ এতিম ছেলে। ছোটবেলায়ই তার মা-বাবা মারা যায়। ওই সময় থেকেই আমরা তাকে বরণপোষণ দিয়ে বড় করেছি। এখন হালচাষ করার ট্রাক্টর ড্রাইভার। সে ছোট্ট একটি ছেলে, এভাবে তাকে না মেরে আমাদের কাছে বললে আমরা যত টাকা লাগতো দিতাম। আমরা শুভ’র হত্যাকারীদের বিচার চাই।
নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক জহুরুল ইসলাম বলেন, লাশের শরীরে ট্রেনে কাটা পড়ার কোন চিহ্ন দেখা যায়নি। ময়না তদন্তের পর মঙ্গলবার রাতেই নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন কবরস্থানে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে কবর থেকে লাশ তোলে নিয়ে যেতে অনুমতি দেয়া হবে।
এব্যাপারে রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আদিল মাহমুদ বলেন, ছেলেটিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গেছে বলে শুনেছি। তার হত্যার বিষয়টি আমি অবগত নই। এব্যাপারে আমাদের থানায় কেউ অভিযোগও করেনি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে এবং পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে হত্যা মামলা হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, শুভ এতিম ছেলে। ছোটবেলায়ই তার মা-বাবা মারা যায়। ওই সময় থেকেই আমরা তাকে ভরণপোষণ দিয়ে বড় করেছি। এখন হালচাষ করার ট্রাকচালক সে। সে ছোট্ট একটি ছেলে, এভাবে তাকে না মেরে আমাদের কাছে বললে আমরা যত টাকা লাগতো দিতাম। আমরা শুভর হত্যাকারীদের বিচার চাই।
নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক জহুরুল ইসলাম বলেন, মরদেহের শরীরে ট্রেনে কাটা পড়ার কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। ময়নাতদন্তের পর মঙ্গলবার রাতেই নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন কবরস্থানে বেওয়ারিশ মরদেহ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কবর থেকে মরদেহ তুলে নিয়ে যেতে অনুমতি দেওয়া হবে।
রায়পুরা থানার ওসি মো. আদিল মাহমুদ বলেন, ছেলেটিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গেছে বলে শুনেছি। তার হত্যার বিষয়টি আমি অবগত নই। এ ব্যাপারে আমাদের থানায় কেউ অভিযোগও করেনি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে এবং পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে হত্যা মামলা হতে পারে।



