নান্দাইলে ৫১ বছর পরও জমি সংকটে প্রাথমিক বিদ্যালয়
নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:২৭ পিএম
নান্দাইল উপজেলার মেরাকোনা আছিরুন্নেছা এলাহি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মেরাকোনা আছিরুন্নেছা এলাহি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ৫১ বছর পরও নিজস্ব জমির অভাবে হুমকির মুখে পড়েছে। দুটি ভবন, একটি ওয়াশ ব্লক ও খেলার মাঠ থাকলেও বিদ্যালয়ের জমির কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। অভিযোগ উঠেছে, ভুয়া দলিল দেখিয়ে বিদ্যালয়টি সরকারি করা হয়েছে।
জানা গেছে, ১৯৭৪ সালে স্থানীয় আব্দুল মালেক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। তবে তিনি নিজ জমিতে না করে প্রতিবেশী নূর হোসেন ব্যাপারীর জায়গায় বিদ্যালয় নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে নূর হোসেনের ছেলে আশ্রব আলী ও জাফর আলী জমি নিজেদের নামে নামজারি করে নেন। অভিযোগ রয়েছে, ২০১৩ সালে আব্দুল মালেক ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে বিদ্যালয়টিকে জাতীয়করণ করান এবং সরকারি অনুদানে দুটি ভবন নির্মিত হয়।
বর্তমানে বিদ্যালয়ের দখলে থাকা ৫০ শতাংশ জমির মধ্যে ১৫ শতাংশ সহকারী শিক্ষক ফাতেমা খাতুন বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি দাবি করেন, জমিটি তার চাচাশ্বশুর জাফর আলীর কাছ থেকে কেনা। অন্যদিকে, অবশিষ্ট ২৫ শতাংশ জমি ও ভবন তাঁর শ্বশুর আশ্রব আলীর নামে রয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক জেসমিন আক্তার ও সহকারী শিক্ষক ফাতেমা খাতুন বাকি জমিটুকুও বিক্রির চেষ্টা করছেন। এতে ভবিষ্যতে বিদ্যালয় শুধু ভবন নিয়েই টিকে থাকার ঝুঁকিতে পড়বে।
সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক বলেন, আমি আশ্রব আলীর কাছ থেকে এওয়াজ বদলনামা দলিল করেছিলাম। এখন যদি বলে বিদ্যালয়ের নামে জমি নেই, তাহলে নেই। বিক্রি করে দিলে করার কিছু নেই।
বর্তমান প্রধান শিক্ষক জেসমিন আক্তার জানান, তিনি সাত বছর ধরে দায়িত্বে থাকলেও বিদ্যালয়ের কোনো কাগজপত্র তার কাছে নেই। বাস্তবে ২৫ শতাংশ জমি দখলে রয়েছে, সেটিও তাঁর শ্বশুরের নামে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফজিলাতুন নেছা বলেন, প্রধান শিক্ষককে কাগজপত্র আনতে বলা হয়েছে। কাগজপত্র না দেখাতে পারলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, সহকারী শিক্ষক ফাতেমা খাতুন জমি বিক্রির বিষয়টি স্বীকার করেছেন।



