Logo
Logo
×

সারাদেশ

পশ্চিম রেলওয়ের ইয়ার্ডে দেড় যুগ ধরে পড়ে ৩০০ মালবাহী ওয়াগন

Icon

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০০ পিএম

পশ্চিম রেলওয়ের ইয়ার্ডে দেড় যুগ ধরে পড়ে ৩০০ মালবাহী ওয়াগন

খোলা আকাশের নিচে রোদ-বৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে রেলওয়ের পুরোনো ওয়াগন। সম্প্রতি পার্বতীপুর জংশন এলাকা থেকে তোলা।

বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন ইয়ার্ডে প্রায় দেড় যুগ ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ৩০০টিরও বেশি মালবাহী ওয়াগন। একদিকে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন ওয়াগন আমদানি করা হচ্ছে, অন্যদিকে খোলা আকাশের নিচে রোদ-বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পুরোনো ওয়াগনগুলো। সবচেয়ে বেশি ওয়াগন পড়ে আছে সান্তাহার, পার্বতীপুর ও সৈয়দপুর ইয়ার্ডে। মেরামতের উদ্যোগ না নেওয়ায় এখন এগুলোকে স্ক্র্যাপ হিসেবে বিক্রির চেষ্টা চলছে।

নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার শ্রমিকরা বলছেন, প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ সরবরাহ করা হলে ওয়াগনগুলো মেরামত করে আবারও চলাচলের উপযোগী করা যেত। এতে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা সাশ্রয় হতো। কিন্তু মেটালিসটিক রাবার ইউনিটের অভাব এবং চাহিদা কম থাকার অজুহাতে বছরের পর বছর ওয়াগনগুলো অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

তথ্যমতে, পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন ইয়ার্ডে ৩২৯টি বিসি ধরনের ওয়াগন পড়ে আছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ১৭৫ কোটি টাকা। প্রতিটি ওয়াগনের আমদানি মূল্য ৫০ থেকে ৫৫ লাখ টাকা হলেও দীর্ঘদিন অব্যবহৃত অবস্থায় থেকে এগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শুধু সান্তাহার জংশন ইয়ার্ডেই রয়েছে ৯০টি বিসি ও ২৫টি বিসিএফজি (হপার) ওয়াগন, পাশাপাশি ঈশ্বরদী থেকে আনা মেয়াদোত্তীর্ণ আরও ৫০টি ওয়াগন রাখা হয়েছে। পার্বতীপুর ওয়াগন ডিপোতে রয়েছে আরও ১২০টি ওয়াগন।

রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, এসব ওয়াগনের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল শেষ হয়ে গেছে। পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী সাদেকুর রহমান বলেন, একটি ওয়াগনের আয়ুষ্কাল সাধারণত ৪০ থেকে ৪৫ বছর, কিন্তু পড়ে থাকা ওয়াগনগুলো প্রায় ৭০ বছরের পুরোনো। বডি, চাকা, বেয়ারিংসহ বেশির ভাগ অংশই নষ্ট হয়ে গেছে, তাই মেরামত সম্ভব নয়।

অন্যদিকে রেলওয়ে শ্রমিক ইউনিয়নের কারখানা শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ রোবায়েতুর রহমানের মতে, অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল কাগজে-কলমে শেষ হলেও অবকাঠামো ভালো থাকলে মেরামত করা সম্ভব। যেমন যাত্রীবাহী কোচগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও প্রকল্পের মাধ্যমে সংস্কার করে নতুন জীবন দেওয়া হয়। একইভাবে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ সরবরাহ করে ওয়াগনগুলো আধুনিক রূপে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, একদিকে যখন বলা হচ্ছে মালবাহী ওয়াগনের চাহিদা নেই, তখন কেন সম্প্রতি ভারত থেকে ৪২০টি নতুন মালবাহী ওয়াগন আমদানি করা হলো? রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অব্যবহৃত ওয়াগনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন