মালয়েশিয়া পাচারের আগে টেকনাফে পাহাড়ি আস্তানা থেকে ৬৬ জন উদ্ধার
কক্সবাজার প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:১৪ পিএম
ছবি : মালয়েশিয়া পাচারের আগে টেকনাফে পাহাড়ি আস্তানা থেকে ৬৬ জন উদ্ধার
কক্সবাজারের টেকনাফে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দ্যেশে জড়োকালে উপকূলীয় এলাকার গহীন পাহাড়ের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে নারী ও শিশুসহ ৬৬ জনকে উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী।
যৌথ বাহিনীর সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, উদ্ধারদের মধ্যে কেউ অপহরণ শিকার; আবার কেউ কেউ মালয়েশিয়া যাওয়ার উদ্দ্যেশে এসে সংঘবদ্ধ দালাল চক্রের হাতে জিন্মি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া সংলগ্ন পাহাড়ী এলাকায় এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান, কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।
উদ্ধারদের মধ্যে ২৩ জন নারী, ২২ জন পুরুষ ও ২১ জন শিশুদের। তাদের মধ্যে অধিকাংশই রোহিঙ্গা নাগরিক।
লে. কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া সংলগ্ন পাহাড়ী এলাকায় দূর্বৃত্তদের গোপন আস্তানায় কিছু সংখ্যক লোকজনকে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের জন্য জড়ো করার খবর পায় আইন শৃংখলা বাহিনী। পরে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর একটি যৌথ দল সেখানে অভিযান চালায়। এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ১৫ থেকে ২০ জন দূর্বৃত্ত কৌশলে পালিয়ে যায়। এসময় সেখানকার পাহাড় চূড়ায় কয়েকটি গোপন আস্তানার সন্ধান পাওয়া যায়।
“ এসব আস্তানা থেকে উদ্ধার করা হয় ৬৬ জনকে। উদ্ধাররা জানিয়েছে, টেকনাফে অপহরণ ও মানবপাচারকে কেন্দ্র করে কয়েকটি সংঘবদ্ধ অপহরণকারি চক্র সক্রিয় রয়েছে। চক্রের সদস্যরা উদ্ধারদের কাউকে সাগরপথে মালয়েশিয়া সহ বিভিন্ন দেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে; কাউকে কাউকে মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত হয়ে সেখানে এসেছেন। “
কোস্ট গার্ডের এ গণমাধ্যম কর্মকর্তা বলেন, ঘটনায় জড়িত পাচারকারিদের চিহ্নিত করতে কোস্ট গার্ড কাজ করছে। উদ্ধারদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তরে ব্যবস্থা নিতে টেকনাফ থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
তবে সকালে কোস্ট গার্ড টেকনাফ স্টেশন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযানের ব্যাপারে বিস্তারিত গণমাধ্যম কর্মিদের তুলে ধরবেন বলে জানান, লে. কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।



