রক্তদান করলেন জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৩১ পিএম
রক্ত দিচ্ছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা
মানবিক ডিসি হিসেবে পরিচিত মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা আজ তিনি নিজেই রক্তদান করলেন জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘তারুণ্যের উৎসব’-এ।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তা রুবায়েদ হাসান সিরাজ জেলা প্রশাসকের নিজের রক্তদানের ভুয়সী প্রশংসা করে বলেন,“আমরা প্রায় প্রতিটি জেলায় একাধিকবার রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করেছি। কিন্তু জীবনে এই প্রথম দেখলাম জেলা প্রশাসক শুধু রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেই ক্ষান্ত হলেন না, উনি নিজেও রক্তদান করলেন। আমরা জেনেছি জেলা প্রশাসক নিজেও ছাত্রজীবন থেকেই নিয়মিত রক্তদান করে আসছেন।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের নারায়ণগঞ্জ জেলার সংগঠক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন,“আমি বিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে রক্তদান কর্মসূচির সাথে জড়িত। আমরা এই জেলায় বিভিন্ন স্থানে বহু রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করেছি। কিন্তু জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আমাদের কর্মসূচির আয়োজনের সুযোগ এটাই প্রথম।
রক্তদান সংস্থা বাঁধনের সরকারি তোলারাম কলেজ শাখার আহ্বায়ক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন,“আমরা আগে দেখেছি সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ ধরণের রক্তদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেন এবং সবাইকে রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করেন, কিন্তু নিজেরা কখনো অংশ নেন না।
এর আগে নারায়ণগঞ্জে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা নিজের রক্তদানের মধ্য দিয়ে ‘তারুণ্যের উৎসব’-এর উদ্বোধন করেছেন। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির মাধ্যমে এই উৎসবের সূচনা হয়। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় দিনব্যাপী এ রক্তদান কর্মসূচি পরিচালিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক নিজে রক্তদান করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।
জেলা পুলিশ সুপার রক্তদানের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন,“রক্তদানের মাধ্যমে একটি জীবন রক্ষা করা যায়। একসময় রক্তের অভাবে মানুষ মারা যেত। এখন আমাদের মাঝে মানবিক মূল্যবোধ তৈরি হয়েছে, আমরা দুঃসময়েও মানুষকে সাহায্য করতে পিছপা হই না। এ আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।”
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন,“আমি নারায়ণগঞ্জে যোগদানের পর থেকে এখানকার মানুষ আমাকে যেভাবে সহযোগিতা করেছেন, আমি আসলে তাদের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ।



