কাপ্তাই বাঁধের পানি ফের চুড়ান্তসীমায়
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৫২ পিএম
ছবি-যুগের চিন্তা
কাপ্তাই বাঁধের পানি চুড়ান্তসীমায় পৌঁছায় বাধেঁর ১৬টি জলকপাট ফের তৃতীয়বারের মতো ৬ইঞ্চি করে খুলে দেয়া হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে হ্রদ এলাকয় ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নামায় হ্রদে পানি অস্বাভাবিক বেড়েছে।
সোমবার দুপুর পৌনে তিনটায় কাপ্তাই বাঁধের ১৬ গেটের সবকটি ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়েছে। টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে বিপদসীমায় পৌঁছে যাওয়ায় গেটগুলো খুলে দেওয়া হয়।
কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকোৗশলী মাহমুদ হাসান জানান, হ্রদের পানি বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছায় উজান ও ভাটি এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বিকাল পৌনে তিনটায় দিকে স্পিলওয়ের ১৬টি গেট ছয় ইঞ্চি পরিমাণ উঠিয়ে পানি নিষ্কাশন করা হচ্ছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে। বিকালে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয় ১০৮.৮৬ এমএসএল। হ্রদের পানি সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। এটি চলতি বছরের সর্বোচ্চ পানির স্তর ।
ব্যবস্থাপক এর মতে বর্তমানে হ্রদে পানির ইনফ্লো ও বৃষ্টিপাত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ইনফ্লো বেশি হলে অর্থাৎ পানির লেভেল অপ্রত্যাশিতভাবে বৃদ্ধি পেলে স্পিলওয়ের (জলকপাট) গেট খোলার পরিমাণ পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করা হবে।
এদিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট চালু রেখে প্রতি সেকেন্ডে কাপ্তাই হ্রদ থেকে কর্ণফুলী নদীতে আরো ৩২ হাজার কিউসেক পানি নির্গত হচ্ছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে মোট ৪১ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নির্গত হচ্ছে। বর্তমানে এই কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ২২২ মেগাওয়াট।
উল্লেখ্য রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বিপদ সীমার ওপর অতিক্রম করায় বলতি বছরের ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২ টা ৫ মিনিটে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে লেকের পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় এরপর কেন্দ্রের জলকপাট সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ ফুট পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়।
অবশেষে পানি ছাড়ার সাতদিন পর হ্রদে পানির উচ্চতা কমে আসায় গত ১২ আগস্ট সকাল নয়টায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল রাঙ্গামাটির কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট। এরপর আবারো পানি বেড়ে যাওয়ায় গত ২০ আগস্ট গেট ছয় ইঞ্চি খুলে দেওয়া হয়। যা বন্ধ করা হয় ২৩ আগস্ট। এর পর তৃতীয় বারের মতো সোমবার বিকালে বাঁধের ইস্পিল ওয়ে খোলা হয়েছে। এতে করে ৪১ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলীতে নিষ্কাশিত হচ্ছে।



