ছবি-সংগৃহীত
ব্যবসায়ীকে ‘অস্ত্রসহ আটকের’ সময় র্যাব সদস্যদের অবরুদ্ধ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। একপর্যায়ে আটক ব্যবসায়ীকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাসদস্যরা এসে র্যাব সদস্যদের উদ্ধার করে নিয়ে যান। আজ রোববার বিকেলে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরামা গ্রামের বরামা চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় লোকজনের ভাষ্যমতে,বিকেল সোয়া পাঁচটায় র্যাবের একটি গাড়ি বরামা চৌরাস্তায় এসে থামে। সেখানে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দোকানে গিয়ে র্যাব সদস্যরা অভিযান চালান। এ সময় তাঁরা ওই দোকানের মালিক মোশারফ হোসেনকে (৪০) আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটকের কথা জানান। তবে তাৎক্ষণিক র্যাব সদস্যদের ভুয়া আখ্যা দিয়ে মোশারফ হোসেনের বাড়ির লোকজনসহ স্থানীয় শতাধিক ব্যক্তি সেখানে জড়ো হয়ে তাঁদের অবরুদ্ধ করেন। তাঁরা সড়কের বিভিন্ন স্থানে বাঁশ ও কাঠ ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আটকের প্রতিবাদ জানান। একপর্যায়ে আটক মোশারফ হোসেনকে তাঁরা র্যাবের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেন।
বরমী গ্রামের বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শী মো. ওমর ফারুক ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, সেখানে র্যাবের দুই থেকে তিনটি গাড়ি আটক আছে। মোশারফ হোসেনকে আটকের পর স্থানীয় বাসিন্দারা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তাঁরা মোশারফকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেন। সন্ধ্যা থেকে সেখানে স্থানীয় সহস্রাধিক লোকজন তাঁদের অবরুদ্ধ করে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান।
পরে পুলিশ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন বলে জানান গাজীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়াকৈর সার্কেল) মিরাজুল ইসলাম। তিনি সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে বলেন,‘আমরা শুনতে পেয়েছি, সেখানে র্যাবের লোকজনকে দুটি গাড়িসহ আটকে রাখা হয়েছে। শুনেছি,তারা আসামি ধরতে এসে একটি ইনসিডেন্ট (ঘটনা) ঘটিয়েছেন। এমন খবরে আমরা পুলিশ সদস্যরা সেখানে যাই। উত্তেজিত জনতাকে থামাতে চেষ্টা করি। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সেখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা পৌঁছান। পরে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিট থেকে সেখানকার পরিস্থিত স্বাভাবিক হয়।’



