নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে বিকল একমাত্র আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫৮ এএম
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন বিকল।
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের একমাত্র আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিনটি গত আগস্টের শুরু থেকে বিকল হয়ে পড়েছে। এতে প্রতিদিন বহু রোগী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বাধ্য হয়ে তাঁদের বেশি খরচে প্রাইভেট হাসপাতালে পরীক্ষা করাতে হচ্ছে, যা গরিব ও মধ্যবিত্ত রোগীদের জন্য বড় ধরনের ভোগান্তি তৈরি করেছে।
নোয়াখালীর ৯টি উপজেলার পাশাপাশি লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও কুমিল্লার কয়েকটি এলাকার মানুষও এ হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল। ২৫০ শয্যার হলেও এখানে প্রতিদিন ভর্তি থাকে ৭০০–৮০০ রোগী, আর আউটডোরে চিকিৎসা নেন এক হাজারের বেশি রোগী। ফলে আলট্রাসনোগ্রাফিসহ নানা পরীক্ষার চাহিদা সবসময়ই বেশি। সরকারি হাসপাতালে যেখানে ২০০ টাকায় আলট্রাসনোগ্রাফি করা যেত, সেখানে প্রাইভেট হাসপাতালে দিতে হচ্ছে দুই হাজার টাকা বা তারও বেশি।
মেশিন বিকল থাকায় প্রতিদিন অন্তত অর্ধশত রোগী পরীক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অনেকেই পরীক্ষা না করাতে পেরে চিকিৎসা থেকে পিছিয়ে যাচ্ছেন। পেটে ব্যথা নিয়ে আসা নূর নবী বলেন, গরিব মানুষের পক্ষে প্রাইভেট হাসপাতালে ২ হাজার টাকা খরচ করা সম্ভব নয়। অথচ সরকারি হাসপাতালে করলে মাত্র ২০০ টাকা লাগত। এক প্রসূতির স্বজন জানান, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আলট্রা করতে বারবার আসলেও মেশিন নষ্ট থাকায় বাইরে গিয়ে অনেক টাকা খরচ করে করতে হচ্ছে।
আলট্রাসনোগ্রাফি ল্যাবের ইনচার্জ শিরিন আক্তার বলেন, আগস্টের ৪ তারিখ পর্যন্ত আলট্রা করা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু ৫ ও ৬ আগস্ট ছুটির পর মেশিন চালু করলে দেখা যায় সেটি নষ্ট হয়ে গেছে। প্রতিদিন বহু রোগী এসে ফিরে যাচ্ছেন। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে জানানো হয়েছে, দ্রুত মেরামতের চেষ্টা চলছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, হাসপাতালে একটি মাত্র আলট্রা মেশিন রয়েছে, সেটিও পুরোনো। আধুনিক একটি মেশিনের জন্য বহুবার চাহিদা পাঠানো হলেও এখনো পাওয়া যায়নি। আশা করছি, শিগগিরই নতুন মেশিন আসবে এবং কার্যক্রম চালু করা যাবে।



