মিয়ানমার থেকে ১৯ ট্রলারসহ ১২২ জেলেকে ফেরত এনেছে কোস্টগার্ড
কক্সবাজার প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৫, ০৪:০৬ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
কক্সবাজারের টেকনাফে নাফনদীতে আইন অমান্য করে মিয়ানমার জলসীমায় প্রবেশকারি ১৯ টি ট্রলারসহ ১২২ জেলেকে ফেরত এনেছে কোস্টগার্ড।
শুক্রবার সকাল ৮ টা থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া থেকে শাহপরীরদ্বীপ মোহনা সংলগ্ন নাফ নদীর বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান, কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।
তবে ফেরত আনা জেলেদের নাম ও পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
লে. কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ লাগোয়া পুরো সীমান্ত এলাকার নিয়ন্ত্রণ এখন দেশটির বিদ্রোহী গোষ্টি আরাকান আর্মির হাতে। এতে নাফ নদীর জলসীমার শূণ্যরেখা অতিক্রম করে মিয়ানমার অভ্যন্তরে ঢুকে বাংলাদেশি জেলেদের আরাকান আর্মি কর্তৃক প্রতিনিয়ত ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। আন্তর্জাতিক আইন অমান্যকারি এসব জেলেদের ফেরত আনতে কোস্টগার্ড সহ সীমান্তে নিরাপত্তা প্রদানকারি সংস্থাগুলোকে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। এতে সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, মাদকপাচার, অস্ত্রপাচার ও চোরাচালান রোধ সহ নিরাপত্তা নিশ্চিতে নানাভাবে বেগ পেতে হচ্ছে।
কোস্টগার্ডের এ গণমাধ্যম কর্মকর্তা বলেন, “ শুক্রবার সকাল ৮ থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া থেকে শাহপরীরদ্বীপ মোহনা সংলগ্ন নাফ নদীর বিভিন্ন এলাকায় কোস্টগার্ড নজরদারি জোরদার করে। এসময় নাফ নদীর জলসীমার শূণ্যরেখা অতিক্রম করে মিয়ানমার অভ্যন্তরে মাছ ধরার সময় বাংলাদেশি ১৯ টি ট্রলার সহ ১২২ জেলেকে ফেরত নিয়ে আসে। “
সিয়াম-উল-হক জানান, এসব জেলেদের ফেরত না আনলে আরাকান আর্মি কর্তৃক ধরে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। ফেরত আনা এসব জেলে এখন কোস্টগার্ডের শাহপরীরদ্বীপ স্টেশন রয়েছে।
ফেরত আনা জেলে ও ট্রলার মালিকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
এদিকে ট্রলার মালিকদের দেয়া তথ্য মতে, গত ৫ আগস্ট থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত ২৩ দিনে ১০টি ট্রলার ৬৩জন জেলে ধরে নিয়ে গেছে।
এ নিয়ে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে আরাকান আর্মি ২৬৭ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। এর মধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় কয়েক দফায় ১৮৯ জন জেলে এবং ২৭টি নৌযান ফেরত আনা হয়েছে।



