আরাকান আর্মির ধাওয়ায় নাফনদীতে মাছ ও জালসহ ট্রলার ডুবি
তৌহিদুল ইসলাম, কক্সবাজার
প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৫, ০৫:১৩ পিএম
ছবি-সংগৃহীত
বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার শেষে কক্সবাজারের টেকনাফে ফেরার সময় নাফনদীর মোহনায় মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যদের ধাওয়ায় ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। যদিও ৭ জেলে উদ্ধারের তথ্য জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
সোমবার দুপুর দেড়টায় নাফনদীর মোহনায় শাহপরীর দ্বীপের বদরমোকামের “গরা” এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া ঘাটে ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম।
উদ্ধার জেলেরা হলেন, সুলতান আহমদ, নুর কবির, কবির আহমদ, আলী হোসেন, সোনা মিয়া গফুর আলম ও আব্দুল আমিন মাঝি।
সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, টেকনাফ সদরের নতুন পল্লানপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ হাশেমের মালিকাধীন ট্রলার এটি। বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার শেষে টেকনাফে ফেরার সময় মিয়ানমারের আরাকান আর্মির ধাওয়ায় ট্রলারটি গরায় ঢেউয়ের কবলে পড়ে ডুবে গেছে। এতে ৭ জেলে ছিল। ট্রলারে থাকা কয়েক লাখ টাকার মাছ ও জালসহ অন্যন্য জিনিসপত্র ভেসে গেছে।
ট্রলার মালিক মোহাম্মদ হাশেম বলেন, আরাকান আর্মির ধাওয়ায় ট্রলারটি ঢেউয়ের কবলে পড়ে ডুবে গেছে। মাছ,জাল ও অন্যন্য জিনিসপত্র ভেসে গেছে। ট্রলারটি ডুবে রয়েছে। ট্রলারটি বালুতে ঢুকে যাবার পাশাপাশি ঢেউয়ে কবলে পড়ে ভেঙ্গে যেতে পারে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, আরাকান আর্মির ধাওয়ায় এবার মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।
এর আগে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একটি মাছ ধরার ট্রলারসহ বাংলাদেশি ৭ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।
বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ শিকার শেষে টেকনাফে ফেরার পথে শাহপরীর দ্বীপের নাইক্ষ্যংদিয়া নামক নাফনদীর মোহনা থেকে এদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া ঘাটে ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম।
তিনি বলেন, ট্রলারটির মালিক টেকনাফ পৌরসভার চৌধুরীপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল মোনাফের ছেলে উমর ছিদ্দিকের মালিকাধীন। মাছ ধরার ট্রলারটিতে ৭জন মাঝিমাল্লা ছিলেন।
এনিয়ে গত ২০ দিনে ৪০ জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর আগে রবিবার দুটি ট্রলারসহ আরও ১৪ জেলে, শনিবার একটি ট্রলারসহ ১২ জেলে, ১২ আগস্ট ট্রলারসহ ৫ জেলে এবং ৫ আগস্ট বিহিঙ্গি জাল ও নৌকাসহ ২ জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে আজ এই পর্যন্ত নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে আরাকান আর্মি ২৪৪ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে।



