জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ এ স্বর্ণপদক পেলেন সফল চিংড়ি ব্যবসায়ী রিপন
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৫, ০২:৪০ পিএম
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫-এ চিংড়ি (বাগদা) উৎপাদনে স্বর্ণপদক অর্জন করেছেন তরুণ উদ্যোক্তা গোলাম কিবরিয়া রিপন। যা শুধু তাঁর ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং দেশের মৎস্য খাতে এক নতুন দিগন্তের সূচনা। তাঁর নিষ্ঠা, পরিশ্রম ও উদ্ভাবনী চিন্তা দেখিয়ে দিয়েছে, তরুণরাই পারে কৃষি ও মৎস্যকে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিশ্বমানে পৌঁছে দিতে।
বিশ্ববরেণ্য ও নোবেল বিজয়ী ব্যক্তিত্ব এবং বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসের হাত থেকে উক্ত সম্মাননা গ্রহণের মুহূর্তটিই ছিল জাতির জন্য গর্বের, তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণার এবং সর্বোপরি খুলনার মানুষের জন্য বিরল সম্মানের। দানবীর রিপনের এই অর্জন প্রমাণ করে, সঠিক দিকনির্দেশনা ও সাহস থাকলে যেকোনো ক্ষেত্রেই সাফল্য অর্জন সম্ভব।
তিনি শুধু চিংড়ি উৎপাদন করেননি, বরং একটি টেকসই ও রপ্তানিমুখী মডেল তৈরি করেছেন যা অন্যদের জন্য পথপ্রদর্শক। তাঁর উদ্যোগে স্থানীয় কর্মসংস্থান বেড়েছে এছাড়াও নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার হয়েছে। এই পদক তাঁর স্বপ্নের স্বীকৃতি এবং ভবিষ্যতের আরও বড় অর্জনের পূর্বাভাস। সফল ব্যবসায়ী রিপনের মতো তরুণরাও আমাদের দেখিয়ে দেয়, গ্রামই হতে পারে উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু। তাঁর সাফল্য দেশের তরুণদের আহ্বান জানায়, তরুণদের পাশে দাঁড়াও, তাদের স্বপ্নে বিনিয়োগ করো। মৎস্য খাতে প্রযুক্তি, গবেষণা ও উদ্ভাবনের যে সম্ভাবনা রয়েছে, রিপন তা বাস্তবে রূপ দিয়েছেন।
এই অর্জন শুধু একটি পদক নয়, এটি একটি বার্তা, বাংলাদেশ প্রস্তুত, তরুণরাই চালকের আসনে। তাঁর মতো উদ্যোক্তারা আমাদের অর্থনীতিকে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় এগিয়ে নিতে পারে। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহে তার স্বর্ণপদক সকলকে মনে করিয়ে দেয়, সাফল্য আসে সাহস ও শ্রমের সমন্বয়ে। আর তরুণদের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হলে প্রয়োজন সহযোগিতা, প্রশিক্ষণ ও নীতিগত সহায়তা। যা গোলাম কিবরিয়া রিপন দেখিয়ে দিয়েছেন যে , স্বপ্ন দেখো, কাজ করো — “সাফল্য তোমার অপেক্ষায়, তোমরাও পারবে”।
উল্লেখ্য, সোমবার সকালে বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস এর কাছ থেকে তিনি এ পদক গ্রহণ করেন। গোলাম কিবরিয়া রিপনের পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলায় রয়েছে ৭ শতাধিক বিঘার চিংড়ী ঘের। যেখানে তিনি বাগদা চিংড়ী ছাড়াও গলদা, হরিনা, চাকা চিংড়ীসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। তার ঘের সমুহে ব্যাপক চিংড়ী উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছেন। সরকার তার থেকে আয় করছে প্রচুর রাজস্ব।
এ দিকে তিনি জাতীয় পদক পাওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন পাইকগাছা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকবৃন্দ।



