ব্রাহ্মণবাড়িয়ার
বাঞ্ছারামপুরে সড়কের বেহাল দশা, চলাচলে ভোগান্তি
বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৫, ০৬:৫১ পিএম
ছবি : যুগেরচিন্তা
সেতুর একপাশের রাস্তার কিছু অংশ ভেঙে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়েই চলছে যানবাহন। প্রায়ই ভাঙা অংশে যানবাহনের চাকা পড়ে ঘটছে দুর্ঘটনা।
অতিবৃষ্টির কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামাপুরের ধারিয়ারচর থেকে মানিকপুর গ্রামের সেতুর একপাশের রাস্তা ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা গিয়েছে। বন্যাপ্রবণ এলাকা হওয়ায় এবং এই রাস্তার এক পাশে ঢোলভাঙ্গা নদী থাকায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভাঙনের কারণ হয়েছে রাস্তার নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়া। এই ব্রিজের সংযোগস্থলেও ব্যাপক ভাঙ্গনের কারণে প্রচন্ড ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে যান চলাচল। এ অবস্থায় ভাঙ্গা সড়কের উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শিশু শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। তবুও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই। সড়কটিতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনায় পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ‘চলাচলের এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ধারিয়ারচর হাজী ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়, মানিকপুর কাওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানা এবং ছাত্রছাত্রী ও বাজারে যাতায়াতে গ্রামবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েন। এতে ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬ শতাধিক ছাত্রছাত্রী চরমে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। বিপজ্জনক সড়ক সংস্কারের দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।,
এই রাস্তায় চলাচলকারী অটো ভ্যানচালক মহসিন মিয়া বলেন, ‘ভাঙ্গা জায়গা দিয়ে গাড়ি চালাতে ভয় লাগে। মনে হয় গাড়ি উল্টে যাবে। ছোটখাটো দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে।’
মাওলানা শাহাজালাল বলেন, ‘এই রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়তই আসা-যাওয়া করছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ ছোট-বড় সব ধরনের যানবাহন। ভাঙা রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে রিকশা ও অটোরিকশার যাত্রীরা যেমন নাকাল হচ্ছেন, তেমনি প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। বিশেষ করে রাতে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করা অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা বলেন, ‘আমি খোঁজ নিয়ে অবিলম্বে বাজারের সড়কটি সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করব।,
রাস্তা মেরামতের বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) জাহাঙ্গীর হোসেনকে মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।



